১০ বছর পর রাঙামাটিতে আওয়ামী লীগের সম্মেলন

চার নেতার ভাগ্য নির্ধারণ কাল

NewsDetails_01

দীপংকর নাকি নিখিল? মুছা নাকি কামাল? আগামী মঙ্গলবার (২৪ মে) দীর্ঘ ১০ বছর পর অনুষ্ঠিতব্য আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে এই চার শীর্ষ নেতার ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

কাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাঙামাটির ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী ইনস্টিটিউট মাঠে অনুষ্ঠিত হবে জেলা আ’লীগের এ সম্মেলন। এই সম্মেলনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। গত কয়েকদিনে সম্মেলনকে ঘিরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা চষে বেড়িয়েছেন পুরো রাঙামাটি জেলা। ধর্ণা দিচ্ছেন কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে। জেলায় এখন সব কিছু চাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর জানান, ইতোমধ্যে সম্মেলনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সম্মেলনে শীর্ষ পর্যায়ের কেন্দ্রিয় অনেক নেতা উপস্থিত থাকবেন। এবারের সম্মেলনে সর্বমোট ২৪৬ জন কাউন্সিলর বলে জানিয়েছেন তিনি।

NewsDetails_03

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে ঘুরেফিরে একটাই আলোচনা, কারা আসছে নতুন নেতৃত্বে। বিশেষ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েই সবার আগ্রহ। সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আলোচনা করছেন নতুন-পুরাতনদের কর্মকান্ড নিয়ে। কারা নতুন নেতৃত্বে আসলে জেলা আওয়ামী লীগ আরও সংগঠিত ও শক্তিশালী হবে এসব নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ।

অন্যদিকে দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে চালাচ্ছে প্রচারণা। এবারের সম্মেলনকে ঘিরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জনের নাম নেতাকর্মীদের মুখে মুখে আলোচিত হচ্ছে। সভাপতি পদে যে দুইজনের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, দলের বর্তমান সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।

অন্যদিকে, সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সহ সভাপতি হাজী কামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর।

প্রসঙ্গত, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১০ বছর আগে ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর। ওই সম্মেলনে সভাপতি পদে কোন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী না থাকায় দীপংকর তালুকদার সভাপতি মনোনিত হন। এবং সাধারণ সম্পাদক পদের ভোটাভুটিতে নির্বাচিত হন হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, তার প্রতিদ্বন্ধি ছিলেন হাজী কামাল উদ্দিন।

আরও পড়ুন