১ জন দিয়ে চলছে বান্দরবানে যে সরকারি অফিস

NewsDetails_01

যুবকদের ঋণ বিতরণ, আদায়, প্রশিক্ষণ,প্রশিক্ষণ,ক্লাব গঠন,উদ্ভুদ্ধকরন,সচেতনতা,আত্নকর্মী,প্রশাসনে সহিত সমন্বয়, অফিস কাজসহ নানান কাজে শুধু মাত্র একজন কর্মচারী দিয়ে চলছে বান্দরবানে থানচি উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয়। যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও অফিস সহায়ক দীর্ঘদিন যাবৎ বান্দরবান সদরে অবস্থান করার অফিসের কর্মকান্ড ব্যাহত এবং স্থবিরতা দেখা দিয়েছে ।

খোজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মকর্তাসহ মোট ৩জন কর্মচারী থাকলে ও শুধু মাত্র কাগজে কলমে লিপিবদ্ধ এবং সীমাবদ্ধ। কার্যালয়ের কর্মকর্তা নুপ্রুচিং মারমা ,অফিস সহায়ক গোলাম রহমান ২জনই বান্দরবান জেলা শহরে অবস্থান করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা ।

দেশের অন্যান্য উপজেলায় ৭ থেকে ৮জন কর্মচারী নিয়োজিত থাকলেও প্রতিষ্ঠানটিতে একজনকেই অফিসের কর্মকান্ড চালিয়ে নিতে হচ্ছে প্রতিনিয়িত। ফলে বান্দরবানে থানচি উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের দৈনন্দিন কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়ার কারনে যুব সমাজের সাংস্কৃতিক, সামাজিক অবস্থান উন্নয়ন হতে ব্যাহত হচ্ছে বলে স্থানীয় যুব সমাজের নেতৃবৃন্দরা মনে করেন ।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয়ে দেখা মেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিগুলি। অযত্ন অবহেলা তাছাড়াও সরকারী নতুন নির্দেশনা অনুসারে সেখানে টাঙ্গানো হয়নি সরকার নির্ধারিত ছবি। কার্যালয়ের ভিতরে অযত্ন, অবহেলা, ময়লা অবর্জনা দেখলে মনে হয়না এটি একটি সরকারী অফিস।

এ প্রসঙ্গে থানচির সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ গোলাম ফারুক জানান, আমি ২০২০ সালের জুন মাসে যোগদান করেছি, তখন থেকে একলা চালাচ্ছি অফিস।

তিনি আরো বলেন, আমাদের কর্মকর্তা নুপ্রুচিং মারমা বান্দরবান সদর উপজেলা কার্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন, অফিস সহায়ক গোলাম রহমান দীর্ঘদিন থেকে বাড়ীতে অবস্থান করছেন।

NewsDetails_03

এই প্রতিবেদককে তিনি আরও বলেন, চলতি বছরে ঋণ বিতরন প্রায় ২৩ লক্ষাধিক টাকা আদায় হয়েছে ৮৮%। বিগত ৫-৬ বছর আগেই সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা সময়ের ঋণ দেয়ার প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকা ঋণ খেলাপীর মধ্যে রয়েছে। আমার একার পক্ষে আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না, অন্যান্য কর্মকান্ড যতদুর সম্ভব চালিয়ে যাচ্ছি ।

এই ব্যাপারে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা (চঃদঃ)নুপ্রুচিং মারমা বলেন, আপনারা সাংবাদিক, বান্দরবান জেলা কর্মকর্তাকে ফোন করে জানান। আমরা কি শান্তিতে থাকবনা, আমি ভালো নেই ।

তিনি আরো বলেন, আমি চলতি দায়িত্ব পালন করবো, নাকি অতিরিক্ত দায়িত্বে বান্দরবান সদরে পালন করবো, সেটি ঠিক করবেন আমাদের কর্তৃপক্ষ । আমাকে সদর উপজেলা অতিরিক্ত দায়িত্ব এবং অতিরিক্ত কাজ দিয়েছে, তাই থানচিতে অবস্থান করা আমার পক্ষে সম্ভব নয় ।

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নুপ্রুচিং মারমা, থানচিতে ৫ই নভেম্বর ২০০০ সাল হতে ৪ই জুলাই ২০০৬ এবং ৩ নভেম্বর ২০০৯ হতে ২১ শে মে ২০১০ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন । পরে ফের গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০১০ সালে থানচি উপজেলা যোগদান করেন ।

অভিযোগ উঠেছে, বান্দরবান জেলা ডিডি (জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে যোগদানের পর তাঁকে বান্দরবান সদর উপজেলা অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলেন জানান সংশ্লিষ্টরা ।

এই ব্যাপারে বান্দরবান জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ হাসান আলী বলেন, বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলা পর্যাপ্ত অফিসার ও ষ্টাফ শূন্য রয়েছে, আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়কে বিষয়টি জানিয়েছি।

আরও পড়ুন