২ বোনের ১ স্বামী : বান্দরবানে বোনকে হত্যার অভিযোগে বোন গ্রেফতার

NewsDetails_01

বান্দরবান শহরের বালাঘাটার ভরাখালী এলাকায় নিহতের বাড়িতে স্বাজনদের ভীর
বান্দরবান শহরের বালাঘাটার ভরাখালী এলাকায় বড় বোনকে হত্যার অভিযোগে ছোট বোনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম নাছিমা আক্তার (৩২) এবং গ্রেফতারকৃত ছোট বোন হলেন সুমি আক্তার। তারা চট্টগ্রাম লোহাগাড়ার নুরুল ইসলামের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ৩০জুন রাতে স্বামী আনোয়ার হোসেন তার স্ত্রী নাছিমা আক্তারকে লাঠি দিয়ে মারধর করে। এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারালে তাকে গলা চেপে ধরে হত্যা করা হয়। পরে তার মুখে কিটনাশক ঢেলে দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে, লাশ হাসপাতালে রেখেই স্বামী পালিয়ে যায়।
প্রতিবেশি রিনা আক্তার পাহাড়বার্তাকে বলেন, গলাটিপে হত্যা করে এখন বলে বেড়াচ্ছে বিষ পানে আত্মহত্যা করে নাছিমা আক্তার।
আরো জানা গেছে, গত এক বছর আগে আনোয়ার হোসেন তার স্ত্রী নাছিমা আক্তারের আপন ছোট বোন সুমি (১৭) কে বিয়ে করে এবং শহরের ভরাখালী এলাকায় দুইটি ঘর তুলে আলাদা ভাবে দুই স্ত্রীকে রাখে। এ নিয়ে পরিবারে প্রায় ঝগড়া বিবাদ হত। কয়েকবার এলাকায় বিচার শালিশ হলেও তার সমাধান না হওয়ার কারনে এই হত্যাকান্ড বলে জানান স্থানীয়রা।
নিহতের আরেক বোন শাহিনা আক্তার বলেন, বোনকে হত্যার পর তার স্বামী আমাকে ফোন করে বলে তোর বোন বিষ পানে মারা গেছে, পরে স্থানীরা জানান স্বামী নিজেই তাকে মেরে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালায়।
এদিকে হত্যাকান্ডের সময় নিহত নাছিমা আক্তারের তিন শিশু সন্তান ঘরে থাকলেও শনিবার সকাল থেকে তাদের কোন হদিস মিলছেনা, হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষদর্শী তিন সন্তান হত্যাকান্ডের ঘটনা কিভাবে সংগঠিত হয়েছে তা প্রকাশ করে দিতে পারে এই আশংখায় তাদের লুকিয়ে ফেলা হয়েছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।
নিহতের মা জয়নাব বেগম পাহাড়বার্তাকে বলেন, আমার মেয়েকে সবসময় মারধর করতো, অনেকেবার বিচার হয়েছে, আর কোনদিন মারবেনা বলে ষ্ট্যাম্পও করেছে, তবুও মেয়ে প্রানে বাঁচলোনা, আমি এই হত্যার বিচার চায়।
বান্দরবান সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ ওমর শরীফ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে, কি কারনে মারা গেছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বাকিটা বলা যাবে।
বান্দরবান সদর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমান পাহাড়বার্তাকে বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পিতা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে নিহতের আপন ছোট বোন সুমি আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন