৩০ বছর পর বাইশারী শাহ নুরুদ্দীন দাখিল মাদ্রাসা এমপিও ভুক্ত
এমপিও ভুক্ত হয়ে প্রতিষ্ঠার ৩০ বছরের আক্ষেপ ঘুচল বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জনবহুল জনপদ বাইশারী শাহ নুরুদ্দীন দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষকদের, খেয়ে না খেয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এলাকায় জ্ঞানের আলো জ্বালিয়ে গেছেন এই মহৎ শিক্ষকরা।
বুধবার ঘোষিত এমপিও ভুক্তির তালিকায় দাখিল শাখায় ৩৫৭নং ক্রমিকে নাম দেখে আনন্দে-উদ্বেলিত মাদ্রাসাটির শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি এলাকার লোকজনদের মাঝেও বইছে আনন্দের বন্যা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাদ্রাসাটির এমপিও ভূক্তির খবর মূহুর্তেই ছড়িয়ে গেলে বাজারে মিষ্টি বিতরন করেছে ব্যবসায়ী সহ এলাকাবাসী।
মাদ্রাসা সুপার মাওলানা নুরুল হাকিম জানান, মাদ্রাসাটি ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠা স্থানীয় বাসিন্দা ইলিয়াছ সওদাগর, মরহুম নুর আহমদ ডিলার, মরহুম আব্দুছ ছমদ আযাদ এবং মীর কাশেমের একান্ত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর মরহুম মাষ্টার ইছহাক, মরহুম আলী আহমদ ডিলার এবং মরহুম আব্দুল করিমের জমি দানের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ যাত্রা শুরু করে।
৩০টি বছর মাদ্রাসায় কোন বেতন ছাড়াই পাঠদান করে গেছেন শিক্ষকরা। এমপিও ভূক্তির আশায় প্রতিষ্ঠান ছেড়ে কোথাও যাননি অনেকে, অত:পর শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হয়েছে। এ জন্য আল্লাহর দরবারে কোটি কোটি শোকরিয়া আদায়ের পাশাপাশি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপিকে অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানিয়েছেন মাদ্রাসাটির শিক্ষক শিক্ষীকা ও এলাকাবাসী।
বাইশারী শাহ নুরুদ্দীন দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মহিউদ্দিন জানান, দীর্ঘদিনের আশা পূর্ণ হয়েছে আমাদের। পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি ওয়াদা করেছিলেন এমপিও ভুক্তি করে দেওয়ার জন্য, অবশেষে তিনি কথা রেখেছেন।
মাদ্সারা পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলম বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের আশা পূর্ণ হয়েছে। পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি মহোদয়ের একান্ত প্রচেষ্টায় এটি সফল হয়েছে। আমরা আশা করি আগামীতে সরকারের যাবতীয় নিয়ম কানুন মেনে এই মাদ্সারা পরিচালিত হবে ।