বান্দরবানে রুমা উপজেলার রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জিরা বম এর বিরুদ্ধে ৩৩৪ বস্তা চাল চুরির অভিযোগ উঠেছে। পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর নির্দেশে ৩৩৪বস্তা চাল ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান জিরা বম। এ চাল চুরির ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জিরা বম রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও তৃতীয় ধাপে নির্বাচনে জন্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। গত মঙ্গলবার (২নভেম্বর) রাতে উদ্ধার হওয়া ৩৩৪বস্তা চাল গুদামে রেখে তালা দিয়েছে ইউএনও।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গেল অক্টোবর মাসের হতদরিদ্রদের ভিজিডির চাল বিতরন না করে তা চুরি করে রেখে দেয় রেমাক্রী প্রাংসার ইউপি চেয়ারম্যান জিরা বম। পরে বিষয়টি ইউএনও জানার পর দ্রুত চুরি করা চাল ফেরত দিতে বললে মঙ্গলবার রাতে চাল ফেরত দেয় চেয়ারম্যান। পরে তা গুদামে রেখে সীলগার মেরে দেয় ইউএনও।
এদিকে রেমাক্রিপ্রাংসা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান জিরা বম মহিলা দুস্থদের ভিজিডি চাল বিতরণের গত নয়মাস ধরে মাস্টারোল জমা দেয়। তাছাড়া ভিজিডি উপকারভোগিদের সঞ্চয় মোট ৩,৬৫,৬০০/= টাকাও এখনো জমা দেয়নি। এবিষয়টি গত ২৮অক্টোবর অনুষ্ঠিত উপজেলা মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুপন চাকমা উপস্থাপন করেছিলেন।
এ বিষয়ে রেমাক্রী প্রাংসা ইউপি মেম্বার রমেশ ত্রিপুরা বলেন, চাল চুরির ব্যাপারে আমার জানা নেই। কত বস্তা চাল তাও জানিনা। তবে চেয়ারম্যান বলছে আজ রাতে চালের বস্তা আসবে, তা ঠিকমত বুঝিয়ে দিতে।
তবে ভিজিডির চাল চুরির বিষয়টি অস্বীকার করে রেমাক্রী প্রাংসার ইউপি চেয়ারম্যান জিরা বম স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, আমি বান্দরবান সদরে রেখে ছিলাম পরে বিতরন করার জন্য চাল রাখা হয়। এর আগেই হৈচৈ হয়ে গেছে। তাই চালের বস্তা গুলো বান্দরবান থেকে রুমা নিয়ে এসেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মামুন শিবলী বলেন, হতদরিদ্রদের ৩৩৪বস্তা চাল উপকারভোগীদের মাঝে বিতরন না করে চেয়ারম্যান নিজের কাছে রেখে দিয়েছে। খবর পেয়ে চালগুলো উদ্ধার করে গুদামে রেখে তালা মেরে রেখেছি।