৩ দিনের টানা ছুটিতে খাগড়াছড়িতে পর্যটকদের ভীড়

NewsDetails_01

টানা তিন দিনের ছুটিতে দেশ। লম্বা ছুটিতে পেয়ে দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ছুটছে পর্যটকরা। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারি (রোববার)সরকারি ছুটি হওয়ায় টানা তিন দিনের বন্ধ পেয়ে ভ্রমণ পিপাসুরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাহাড়ে বেড়াতে আসছে।

খাগড়াছড়ির সবকটি পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের সমাগম বেড়েছে। খাগড়ছড়ির আলুটিলা রহস্যময় সুড়ঙ্গ,রিছাং ঝরণা, ঝুলন্ত ব্রীজসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ও রাঙামাটির সাজেক ভ্যালিতে যাচ্ছে পর্যটকরা। খাগড়াছড়ি ও সাজেক ভ্যালির অধিকাংশ হোটেলে কটেজ বুকিং হয়ে গেছে। করোনার কারণে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ কম থাকায় দেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় বাড়ছে । তবে পর্যনক কেন্দ্রগুলোতে মাস্ক পড়ছে না পর্যটকরা। মানা হচ্ছে না করোনা স্বাস্থ্য বিধি।

খাগড়াছড়িতে আসা ৯০ শতাংশ পর্যটকদের গন্তব্য রাঙামাটির সাজেক ভ্যালিতে। যাতায়াত সুবিধার কারণে পর্যটকরা খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেকে যাতায়াত করে। পর্যটকদের আগমনে মুখরিত রুইলুই ও কংলাক পাড়া। অধিকাংশ হোটেলে ও কটেজ বুকিং হয়ে গেছে। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ১৮শ ফুট কংলাক পাড়া থেকে দেখা মিলছে মিজোরামের পাহাড় এবং মেঘ। প্রকৃতির সৌন্দর্যে মুগ্ধ পর্যটকরা। সাজেকে ভ্যালিতে কয়েকটি রিসোর্ট মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ,‘আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যটকের চাপ রয়েছে বেশি। এই ক’দিন কোন রির্সোট ফাঁকা নেই। অনেক পর্যটক বাধ্য হয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরে থাকছে। ’

NewsDetails_03

খাগড়াছড়িতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা জানান ,‘করোনার মধ্যে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি ছিলাম। এসময়ে পাহাড় রুক্ষ থাকলেও টানা তিন সরকারি ছুটি পেয়ে পাহাড়ে বেড়াতে চলে এসেছি। এখানকার পাহাড়ের সৌন্দর্য মুগ্ধ করেছে। এছাড়া এখানে আসার চলাচলের পথ বেশ উপভোগ্য। ’

অতিথি বাড়ায় খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। টানা তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকদের আগমন বাড়ায় বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের বরণে প্রস্তুত হোটেল ও মোটেল মালিকেরা।

খাগড়াছড়ির অভিজাত আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থাপক প্রান্ত ত্রিপুরা জানান,‘তিন দিনের ছুটিতে খাগড়াছড়িতে পর্যটকদের বিপুল সমাগম হয়েছে। লম্বা বন্ধ পাওয়ার পর্যটকরা পাহাড়ে ছুটছে। আগামী তিন দিন হোটেলের কোন রুম ফাঁকা নেই। খাগড়াছড়ি জেলা শহরের সবকটি রির্সোটের একই অবস্থা। অনেক পর্যটক রুম না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।

প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ। জেলা ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ সন্তোষ ধামাই জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এছাড়া সাজেকগামী পর্যটকদের ভ্রমণের সহায়তা করছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ। পর্যটকরা নিরাপদ ভ্রমণের জন্য আমরা সবধরণে প্রস্তুতি নিয়েছি। ’

আরও পড়ুন