৯৯৯ য়ে ফোন করে অভিযোগ করায় লামায় কৃষক’কে অপহরণ !
নিজের ঘর ভাংচুর থেকে রেহায় পেতে ৯৯৯ য়ে ফোন করেন এক কৃষক। আর এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে সেই কৃষককেই অপহরণ করা হয়। এই অভিযোগ বান্দরবানের লামা উপজেলার মোহাম্মদ হারেছ কোম্পানী গং এর বিরুদ্ধে। করায় লামা কৃষককে অপহরণ! অপহৃতের নাম আব্দুল ছালাম (৬০)।
তাকে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার জনৈক মোহাম্মদ হারেছ কোম্পানী গং গভীর রাতে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন, অপহৃত কৃষকের স্ত্রী ছালাহা বেগম। অপহৃত স্বামীকে উদ্ধারে করতে শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযুক্ত মোহাম্মদ হারেছ কোম্পানীকে বিবাদী করে লামা থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
থানায় দায়েরকৃত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১২ জুন দিনগত রাতে মোহাম্মদ হারেছ কোম্পানীর নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনী অস্ত্রের মুখে কৃষক আব্দুল ছালামের বাড়ী ঘর ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় জাতীয় জরুরী সেবা কেন্দ্র ৯৯৯ নাম্বারে জানালে লামা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর জের ধরে গত ১৫ জুলাই দিনগত রাত ২টা ৪০ মিনিটের দিকে অজ্ঞাত নামা ৭ সদস্যের একটি সন্ত্রাসী দল অস্ত্র হাতে নিয়ে কৃষকের বাড়ী ঘর ঘেরাও করে। পরে জোর পূর্বক ঘরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত কৃষক আব্দুল ছালামের চোখ ও হাত বেঁধে নিয়ে যায়।
অপহৃত কৃষকের স্ত্রী ছালাহা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে মোহাম্মদ হারেছ কোম্পানীর সাথে আমাদের বিরোধ চলে আসছিল। জমি দখল করতে না পেরে আমার স্বামীকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে তারা।
তবে অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মোহাম্মদ হারেছ কোম্পানী জানান, গত ১৫ দিন আগে হারেছ কোম্পানীর জায়গার উপর সরই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিস কোম্পানীর সহায়তায় ছালাহা বেগম ও আব্দুল ছালাম একটি ঘর নির্মাণের চেষ্টা করেন। হারিছ কোম্পানী বাঁধা দিয়ে ঘর নির্মাণ বন্ধ করে দেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলেন।
এ বিষয়ে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শিবেন বিশ্বাস জানায়, ছালাহা বেগমের দায়ের করা এজাহারটি স্থানীয় ক্যায়াজু পাড়া পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দালিখের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।