আজ বান্দরবান মুক্ত দিবস

NewsDetails_01

bandarban-hanader-mukta-divas-pic-13-12-16আজ ১৪ ডিসেম্বর বান্দরবান মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদার মুক্ত হয় বান্দরবান পার্বত্য জেলা। শহরের বর্তমান পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসটি ছিল মুক্তি বাহিনীর ক্যাম্প। এখানেই প্রথম মুক্তিযোদ্ধারা লাল-সবুজের বিজয়ের পতাকা উড়িয়ে বিজয় উল্লাশ করে।
তৎকালিন মহুকুমা প্রশাসক আবদুর শাকুরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা, মুজিব বাহিনীর সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা সেদিন বিজয়ের পতাকা উত্তোলন করেন। দুর্গমতা ও যোগযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় দেশের অন্য স্থানের মত বান্দরবানে বড় ধরনের কোনো যুদ্ধ হয়নি। তবে কিছু পাকিস্থানি সে সময় বান্দরবানে আসে। সাতকানিয়া থেকে মুক্তিযোদ্ধা শহিদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল সে সময় জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পে আসে।
অন্য একটি সাতকানিয়ার কমান্ডার শামসুর রহমানের নেতৃত্বে এসে পাহাড়ের ওপর সড়ক জনপথের রেষ্ট হাউসটিতে অবস্থান নেয়। তখন চট্রগ্রামের কালুরঘাটে হামলার শিকার হয়ে ইপিআরের দুই সদস্য বান্দরবানে আশ্রয় নেয়। পরে এরা থানছির ইপিআর ক্যাম্পের পাকিস্থানি হাবিলদার কুতকুত খানকে ও এক বিহারীকেও হত্যা করা হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে পাক বাহিনীর সদস্য ও পাকিস্থানিদের বিতাড়িত করে মুক্তিবাহিনী এবং রাজাকার আলবদরদেরও শাস্থি দেয়া হয়।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা তারু মিয়া জানান, ১৬ ডিসেম্বরের কয়েকদিন আগে মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা বান্দরবানের শান্তি কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্যকে মাথা নেড়া করে বান্দরবান বাজার ঘুরিয়ে থানায় নিয়ে যায়।
অন্যদিকে, রাজাকাররা বালাঘাটার কাছে চড়ই পাড়া এলাকায় আলী আহম্মদ, কাশেম আলীসহ তিনজনকে হত্যা করে। এছাড়া কোর্ট দারগা মনমহোন ভট্রাচার্য ও তার পাঁচ বছরের ছেলে রতনকেও মেঘলা এলাকায় নিয়ে হত্যা করে।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বান্দরবান সদর উপজেলা কমান্ডার শফিকুর রহমান জানান, যুদ্ধচলার সময়ে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং ইউনিয়নের ক্যানাইজু পাড়া এলাকায় পাকিস্থানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়। সেখানে শহীদ হন অবাঙ্গালি মুক্তিযোদ্ধা টিএম আলী, পরে মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে সেখান থেকে পাকিস্থানি বাহিনী পিছু হটে।

আরও পড়ুন