আমাদের গৌতম বুদ্ধের জ্ঞানের অনুশীলন করতে হবে : ক্যশৈহ্লা

NewsDetails_01

আমাদের গৌতম বুদ্ধের জ্ঞানের অনুশীলন করতে হবে, আর তাতেই আমরা সবাই শান্তিতে থাকতে পারবো। বৌদ্ধ ধর্ম শান্তির ধর্ম, তাই আমাদের ধর্ম চর্চা করতে হবে। আজ মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বান্দরবান সদর উপজেলার রেইছার থলিপাড়া এলাকায় কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা।

এসময় পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরো বলেন, বর্তমান সরকার গ্রামকে শহরে পরিনত করছে, গ্রাম হবে শহর, এখন গ্রামেই মিলবে শহরের সুবিধা। গ্রামেই স্কুল, কলেজ, বাজার, স্বাস্থ্য সেবা, তথ্য ও প্রযুক্তির সুবিধা পাওয়া যাবে। সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করলে সরকারের এই সেবা প্রত্যান্ত এলাকার মানুষ পাবে।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য এলাকা ফুলের বাগানের মতো, আমরা সহ অবস্থানে থেকে এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করছি, যার যার ধর্ম আমরা সুন্দর ভাবে পালন করতে পারি। এলাকার শান্তি বজায় রাখতে সবাইকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।

NewsDetails_03

বান্দরবানের রেইছার থলি পাড়া বৌদ্ধ বিহারে নানা আয়োজনে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের ৮৬তম কঠিনচীবর দান উৎসব পালিত হয়েছে। এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে থলিপাড়া এলাকায় ভান্তেরা চীবর (কাপড়), পেডেসাহ্ (কাগজ দিয়ে তৈরি ফুল গাছ) নগদ টাকাসহ পূজার সামগ্রী হাতে নিয়ে বিহার থেকে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। পরে সমবেত হয়ে পঞ্চমশীল, অষ্টমশীল গ্রহণ এবং পূণ্যলাভের জন্য ভান্তের নিকট চীবর দান করেন পূজানীয়রা।

এসময় নর-নারী, দায়-দায়িকা, উপ-উপাসীকাবৃন্দ পুনরায় বিহারের সমবেত হয়ে ভগবানের উদ্দেশে বিহারে জল উৎসর্গ (পানি ঢালা), নগদ অর্থ দান, প্রদীপ প্রজ্বলন, অষ্টপরিষ্কার দান, পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ করেন ভক্তরা। এসময় ধর্ম সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা শহরের বিভিন্ন বিহারের অর্ধশত ভান্তে। এসময় ক্ষ্যামাতারা ভিক্ষু সবার উদ্দেশে ধর্ম দেশনা দেন ও দেশের শান্তির জন্য মঙ্গল কামনা করেন।

উল্লেখ্য যে, কথিত আছে গৌতম বুদ্ধের মহাপুণ্যবতী নারী বিশাখা দেবী এই কঠিন ব্রতী পালন করে বুদ্ধকে চীবর দান করেছিলেন। সেই থেকে প্রতিবছর কঠিন চীবর দানোৎসব ধর্মীয়ভাবে পালন করে আসছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা।

আরও পড়ুন