ঈদকে কেন্দ্র করে পর্যটক বরণে প্রস্তুতি নিচ্ছে বান্দরবানের পর্যটন ব্যবসায়িরা

NewsDetails_01

বান্দরবানের নীলাচল পর্যটন
ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে পর্যটক বরণে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে বান্দরবানের পর্যটন ব্যবসায়িরা। ঈদকে কেন্দ্র করে টানা ছুটি থাকার কারনে জেলার পর্যটনস্পটগুলোতে ব্যাপক পর্যটক সমাগমের আশংকা থেকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
সূত্রে জানা গেছে, এবার রমজান মাস ২৯ দিন হলে ঈদ হবে ৫ জুন রমজান ৩০ দিনে শেষ হলে ঈদ হবে ৬ জুন। ঈদ যে দিনই হোক এবার ঈদের ছুটি শুরু হবে ৪ জুন। ৫ জুন ঈদ হলে ছুটি থাকবে ৪, ৫ ও ৬ জুন। এরপর শুক্র ও শনিবার (৭ ও ৮ জুন) দু’দিন সাপ্তাহিক ছুটি। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগে ২ জুন রবিবার লাইলাতুল কদরের ছুটি। কদরের ছুটির আগে ৩১ মে ও ১ জুন (শুক্র ও শনিবার) দু’দিন সাপ্তাহিক ছুটি। ৩১ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত নয়দিনের মধ্যে শুধু ৩ জুন সোমবার অফিস খোলা। আর এই টানা ছুটির কারনে জেলায় পর্যটকদের ঢল নামবে।
আরো জানা গেছে, অরণ্যে ঘেরা পাহাড়ের সঙ্গে মারমা, মুরুং, ত্রিপুরা, বম, তংচঙ্গ্যা, চাকমা, চাক, খেয়াং, খুমী, লুসাই, কুকি, পাংখোসহ মোট ১১টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সরল জীবনযাপনের এ আবাস স্থল ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে সৌন্দর্য্যপিয়াসী পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু। সবুজ অরণ্যে ঘেরা প্রাকৃতির অপার সৌন্দর্যের জেলা বান্দরবানের মেঘলা, নীলাচল, নীলগিরি, বৌদ্ধ জাদি, চিম্বুক, শুভ্রনীলা, থানচির রেমাক্রি, নাফাকুম, রুমার বগালেক, কেউক্রাডং, লামার মিরিঞ্জা, আলীকদমের আলীর সুড়ঙ্গসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট এবার পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে। তাই পর্যটনস্পটের নিরাপত্তার পাশাপাশি জেলার ৭টি উপজেলার শতাধিক হোটেল মোটেলে বাড়ানো হচ্ছে সাজসজ্জা।
জেলা সদরের হোটেল প্লাজার জেনারেল ম্যানেজার রাহাত এলাহী বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে এবার বেশি পর্যটক আসবে, তাই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।
জানা গেছে, গত ঈদে ছুটি কম থাকায় জেলা সদরের ৪৬টি হোটেল-মোটেলে পর্যটক আশানুরুপ ছিলোনা। এবার ঈদকে সমানে রেখে পর্যটকের পদচারনায় মুখরিত হবে বলে মনে করছে পর্যটন ব্যবসায়িরা। পর্যটক আগমনের কথা মাথায় রেখে পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে সাজানো হচ্ছে নতুন সাজে, পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা।
বান্দরবান হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত বছর পর্যটন ব্যবসার ভালো হয়নি, এবার টানা ছুটির কারনে ব্যবসা ভালো হবে বলে আশা করছি।
এদিকে প্রতি বছর ঈদকে সমানে রেখে জেলার পর্যটকবাহী গাড়ির ভাড়া নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ পর্যটকদের। তাই এই ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে বান্দরবানে পর্যটকের আগমন কম হতে পারে এমন মত স্থানীয় এবং হোটেল মালিকদের।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পর্যটকেরা যাতে বান্দরবানে এসে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবদিকে নজর রাখা হবে। হোটেল মোটেল ও পর্যটকবাহী গাড়ি চালকরা যাতে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি নিতে না পারে ও খাবার হোটেলে যাতে কোন অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করতে না পারে তার জন্য ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হবে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার বলেন,পর্যটক আগমনের বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবো।

আরও পড়ুন