ঈদুল ফিতরের বিধি-বিধান জেনে নিন

NewsDetails_01


মাসআলা :
ঈদের দিন রোযা রাখা নিষেধ। হাদীসে আছে, প্রখ্যাত সাহাবী আবু সাঈদ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা এ দু দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন।’ [সহীহ বোখারী : হাদীস নং: ১৮৫৫]

মাসআলা : ঈদ উপলক্ষে পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানানো শরীয়ত অনুমোদিত একটি বিষয়। বিভিন্ন বাক্য দ্বারা এ শুভেচ্ছা বিনিময় করা যায়। যেমন :

(ক) হাফেয ইবনে হাজার রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, ‘জোবায়ের ইবনে নফীর থেকে সঠিক সূত্রে বর্ণিত যে, রাসূলে কারীম (সা.) এর সাথে সাহাবায়ে কিরাম ঈদের দিন সাক্ষাৎকালে একে অপরকে বলতেন, ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়ামিনকা’ অর্থ- আল্লাহ তা’আলা আমাদের ও আপনার ভাল কাজগুলো কবূল করুন’ “তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম” অর্থাৎ আল্লাহ আমাদের এবং আপনার (ইবাদত-বন্দেগী) কবুল করুন। [বায়হাকী : ২/৩১৯; ফতহুল বারি]

(খ) ‘ঈদ মুবারক’ বলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা যায়। তবে প্রথমে উল্লেখিত বাক্য দ্বারা শুভেচ্ছা বিনিময় করা উত্তম। কারণ সাহাবায়ে কিরাম রা. এ বাক্য ব্যবহার করতেন ও এতে পরস্পরের জন্য কল্যাণ কামনা ও আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দু’আ রয়েছে।

মাসআলা : ঈদের দিন গোসল করার মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা একান্ত প্রয়োজন। কেননা এদিনে সকল মানুষ নামায আদায়ের জন্য মিলিত হয়। ইবনে উমর রা. থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত যে, তিনি ঈদুল-ফিতরের দিনে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে গোসল করতেন। ইবনে উমর (রা.) থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত যে, তিনি দুই ঈদের দিনে সর্বোত্তম পোশাক পরিধান করতেন। [বায়হাকী]

ইমাম মালেক রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি আলেমদের কাছ থেকে শুনেছি তারা প্রত্যেক ঈদে সুগন্ধি ব্যবহার ও সাজ-সজ্জাকে মোস্তাহাব বলেছেন। [আল-মুগনি : ইবনে কুদামাহ]।

ইবনুল কায়্যিম রহ. বলেছেন, রাসূল (সা.) দুই ঈদেই ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে সর্বোত্তম (পোশাক পরিধান করতেন। [যাদুল মায়াদ]

এ দিনে সকল মানুষ একত্রে জমায়েত হয়, তাই প্রত্যেক মুসলিমের উচিত হল তার প্রতি আল্লাহর যে নিয়ামত তা প্রকাশ করনার্থে ও আল্লাহর শুকরিয়া আদায় স্বরূপ নিজেকে সর্বোত্তম সাজে সজ্জিত করা। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদি আল্লাহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার বান্দার ওপর তাঁর প্রদত্ত নিয়ামাতের প্রকাশ দেখতে পছন্দ করেন।’ [সহীহ আল-জামে]

ঈদ উপলক্ষে যথাসম্ভব পরিবারের সদস্যদেরকে ভালো খাবার ও সুন্দর পোশাক দেয়ার ব্যবস্থা করা উত্তম। তবে অপচয় যাতে না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। অনুরূপভাবে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা-সাক্ষাত করা কর্তব্য। সেই সাথে প্রতিবেশীর খোঁজ-খবর রাখতে হবে। দরিদ্রদের যথাসম্ভব সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে। যাতে ঈদের আনন্দ থেকে তারা বঞ্চিত না হয়।

মাসআলা : পায়ে হেঁটে ঈদগাহে গমন করা এবং ভিন্ন পথে ঈদগাহ থেকে ফিরে আসা সুন্নত। [সহীহ বোখারী : হাদীস নং: ৯৩৩]

ঈদের নামায আদায়ের জন্য তাড়াতাড়ি ঈদ গাহে যাওয়া। হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া সুন্নাত। হাদীসে এসেছে, আলী রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সুন্নাত হল ইদগাহে হেঁটে যাওয়া। ইমাম তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন, হাদীসটি হাসান।

মাসআলা : ঈদগাহে এক পথে গিয়ে অন্য পথে ফিরে আসা সুন্নাত। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (সা.) ঈদের দিনে পথ বিপরীত করতেন। [সহীহ বুখারী] অর্থাৎ যে পথে ঈদগাহে যেতেন সে পথে ফিরে না এসে অন্য পথে আসতেন। এটা এ জন্য যে, যাতে উভয় পথের লোকদেরকে সালাম দেয়া ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা যায়। [যাদুল-মায়াদ]

মাসআলা : হাদীস হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন- ‘রাসূল (সা.) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন গোসল করতেন।’ [ইবনে মাজাহ]। একাধিক বর্ণনামতে রাসূল (সা.) এর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহাতে গোসল করার বিষয়টি প্রমাণিত রয়েছে। দুই ঈদের দিন পুরুষ ও মহিলাদের জন্য গোসল করা এবং উত্তম পোষাক পরিধান করা মোস্তাহাব। কেননা এ দু ‘টি দিনই হলো প্রত্যেকের জন্য আনন্দ ও সৌন্দর্যর দিন। [কাবিরী : ৫২৪]

মাসআলা : ঈদগাহ শহরের বাহিরে হওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা। কেননা রাসূল (সা.) সর্বদা ঈদের নামায শহরের বাহিরে আদায় করতেন; বরং যারা অক্ষম তাদেরকে মাঠে নিয়ে যেতেন। কেবলমাত্র একবার অতি বৃষ্টির কারণে শহরের বাহিরে যেতে পারেননি। [আবূ দাঊদ]

তাই মূল বিধান হলো দুই ঈদের নামায শহরের বাহিরে একই স্থানে বড় সমাবেশের মাধ্যমে আদায় করা। এতে করে ইসলামের শান-শওকত ও মর্যাদা প্রকাশ পায়। কিন্তু বড় বড় শহরে বাহিরে যাওয়া কষ্টকর। বিধায় শহরের ভিতরে কোনো মাঠে অথবা প্রয়োজনে মসজিদে আদায় করবে। তবে এতে করে মাকরূহ হবে না। কিন্তু যথা সম্ভব চেষ্টা করবে -প্রত্যেক মহল্লায় মহল্লায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জামাত করার চেয়ে একটি বড় জায়গায় বিশাল জামাত করা। -[আহসানুল ফাতওয়া :-৪/১১৯, ফাতওয়ায়ে শামী : ১/৭৭৬]

মাসআলা : ঈদের নামাযের জন্য ঈদগাহে যাওয়া সুন্নতে মুআক্কাদা। বিনা ওজরে ত্যাগ করা শাস্তির উপযুক্ত অপরাধ। অসুস্থ ও দুর্বলদের জন্য শহরের বাহিরে যাওয়া কষ্টকর হয় তাই তাদের জন্য মসজিদে ঈদের নামাযের ব্যবস্থা করার ব্যাপারে ওলামায়ে কেরাম অনুমতি দিয়েছেন । [ফাতওয়ায়ে রহিমিয়া]

NewsDetails_03

মাসআলা : ঈদুল ফিতরের দিনে ঈদের নামায আদায়ের পূর্বে খাবার গ্রহণ করা এবং ঈদুল আজহার দিন ঈদের সলাতের পূর্বে কিছু না খেয়ে সলাত আদায়ের পর কুরবানির গোশত খাওয়া সুন্নাত। বুরাইদা রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (সা.) ঈদুল ফিতরের দিনে না খেয়ে বের হতেন না, আর ঈদুল আযহার দিনে ঈদের সলাতের পূর্বে খেতেন না। সলাত থেকে ফিরে এসে কুরবানির গোশত খেতেন। [আহমদ]

ঈদের নামাযের মাসআলা
মাসআলা : ঈদের নামাযে আজান ও একামত নেই। জাবের ইবনে সামুরা রা. বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে একবার নয় দুই বার নয়; একাধিক বার ঈদের নামায পড়েছি তাতে আজান ও একামত ছিল না।’ [সহীহ মুসলিম : হাদীস নং: ১৪৭০]

মাসআলা : সর্বপ্রথম ঈদের নামায হবে তারপর খুতবা। আবু সাঈদ খুদরী রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন ঈদের মাঠে গিয়ে সর্বপ্রথম নামায আদায় করতেন তারপর জনগণের দিকে মুখ ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে ওয়ায করতেন, কোন উপদেশ থাকলে উপদেশ দিতেন বা কোন নির্দেশ থাকলে নির্দেশ দিতেন। আর জনগণ নামাযের কাতারে বসে থাকতেন। কোথাও কোন বাহিনী প্রেরণের ইচ্ছা থাকলে তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতেন অথবা অন্য কোন নির্দেশ জারি করার ইচ্ছা করলে তা জারি করতেন। [সহীহ বোখারী, হাদীস নং: : ৯০৩]

মাসআলা : ঈদের নামায দুই রাকাত। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং:১৩৪১]

মাসআলা : ঈদের নামাযে কেরাআত সম্পর্কে প্রখ্যাত সাহাবী নুমান ইবনে বশির রা. হতে বর্ণিত একটি হাদীসে দেখা যায়- রাসূলুল্লাহ (সা.) দুই ঈদ ও জুমার নামাযে প্রথম রাকায়াতে ‘সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আ’লা’ এবং দ্বিতীয় রাকাতে ‘হাল আতাকা হাদীসুল গাসিয়াহ্’ পাঠ করতেন। [সুনানে নাসাঈ, হাদীস নং:১৫৫০] সূরা ক্বাফ এবং সূরা ইক্বতারাবতিস্ সা’আহ্’ পড়ার কথাও হাদীসে পাওয়া যায়। [সুনানে নাসাঈ, হাদীস নং: ১৫৪৯]

মাসআলা : ঈদের নামাযে অতিরিক্ত ৬টি তাকবীর বলা হয়। হিজরীর প্রথম সনে এর প্রচলন শুরু হয়েছে। ঈদের নামাযে ৬টি তাকবীরের কারণ বয়ান করতে গিয়ে আহকামুল ইসলাম কিতাবে লেখা হয়েছে- ‘ঈদের দিন মানুষ খুব ভালো কাপড় পরিধান করে জাঁকজমকের সাথে মানুষের মাঝে চলাফেরা করে। এর পাশাপাশি আল্লাহ তা’আলার প্রশংসাজ্ঞাপক বাক্য তথা সানা ও তাসবীহ আদায় করে চলা দরকার। অতএব প্রতিবার কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে তাকবীর বলা দ্বারা একথা বুঝানো হচ্ছে যে, আমাদের মতো মানুষের জাঁকজমকের চেয়ে আল্লাহ তা’আলার জাঁকজমক ও ইজ্জত অনেক বড়। সুতরাং ৬টি অতিরিক্ত তাকবীর দ্বারা এদিকে ইশারা করা হয়েছে।’ [মাসায়েলে ঈদাইন : ২৬; আহকামে ইসলাম : ১৬৩]

ঈদের নামাযের নিয়ম
নিয়ত : আমি ইমামের পিছনে কিবলামুখী হয়ে ঈদুল ফিতরের দু’রাকাত ওয়াজিব নামায ছয়টি তাকবীরের সাথে পড়ছি, এরূপ নিয়ত করে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত তুলে তাহরিমা বাঁধবে। তারপর সানা (সুবহানাকাল্লাহুম্মা…) পুরা পড়বে। এরপর আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহর আগে তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলে তাকবীর বলবে। প্রথম দু’বার কান পর্যন্ত হাত উঠায়ে ছেড়ে দিবে। কিন্তু তৃতীয়বার বলে হাত বেঁধে নিবে। প্রত্যেক তাকবীরের পর তিনবার সুবহানাল্লাহ বলা যায় পরিমাণ থামবে। তারপর আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ্ পড়ে সূরায়ে ফাতেহার পরে একটা সূরা মিলাবে। এরপর রুকু, সিজদাহ করে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াবে। এবার অন্যান্য নামাযের মতো বিসমিল্লাহর পরে সূরা ফাতেহা পড়ে আরেকটা সূরা মিলাবে। তারপর তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলার মাধ্যমে তিনটা তাকবীর সম্পন্ন করবে। এখানে প্রতি তাকবীরের পর হাত ছেড়ে দিবে। চতুর্থবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত না বেঁধে রুকুতে চলে যাবে। এরপর সেজদা এবং আখেরি বৈঠক করে যথারীতি সালাম ফিরায়ে নামায শেষ করবে।

ঈদের জামাত সম্পর্কীয় মাসায়েল
মাসআলা : ইমাম সাহেব জুমার মতো দু’টি খুতবা দিবেন। তবে জুমার খুতবা দেয়া ফরয আর ঈদের খুতবা দেয়া সুন্নত কিন্তু ঈদের খুতবা শুনা ওয়াজিব। ওই সময় কথাবার্তা, চলাফেরা ইত্যাদি যেকোনো কাজ নিষেধ।

মাসআলা : ঈদের নামাযের পূর্বে মহিলা হোক কিংবা পুরুষ, বাড়িতে কিংবা মসজিদে অথবা ঈদগাহে নফল নামায পড়া মাকরূহ।

মাসআলা : সম্ভব হলে এলাকার সবাই এক স্থানে একত্রে পড়া উত্তম। তবে কয়েক জায়গায় পড়াও জায়েয।

মাসআলা : ঈদের নামায না পড়তে পারলে কিংবা নামায নষ্ট হয়ে গেলে তার কাজা করতে হবে না, যেহেতু ঈদের নামাযের জন্য জামায়াত শর্ত। তবে বেশকিছু লোকের ঈদের নামায ছুটে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে তারা অন্য একজনকে ইমাম বানিয়ে নামায পড়তে পারবেন।

মাসআলা : ১ শাওয়ালের দ্বিপ্রহরের পূর্বে শরীয়তসম্মত কোনো কারণে ঈদের নামায না পড়তে পারলে শাওয়ালের ২ তারিখে পড়ার অনুমতি আছে। এরপর পড়া যাবে না।

মাসআলা : কেউ ইমাম সাহেবকে দ্বিতীয় রাকাতে পেলে সালামের পর যখন উক্ত ব্যক্তি ছুটে যাওয়া রাকাতের (প্রথম রাকাত) জন্য দাঁড়াবে তখন প্রথমে সানা (সুবহানাকাল্লাহুম্মা…), তারপর আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ পড়ে ফাতেহা ও কিরাতের পর রুকুর পূর্বে তাকবীর বলবে। ফাতেহার আগে নয়।

মাসআলা : ইমাম তাকবীর ভুলে গেলে রুকুতে গিয়ে বলবে, রুকু ছেড়ে দাঁড়াবে না। তবে রুকু ছেড়ে দাঁড়িয়ে তাকবীর বলে আবার রুকুতে গেলেও নামায নষ্ট হবে না। বেশি লোক হওয়ার কারণে সহুসিজদাহ্ও দিতে হবে না।

মাসআলা : কোনো লোক যদি ইমাম সাহেবকে তাকবীর শেষ হওয়ার পরে পায় সে তাকবীরে তাহরিমা বেঁধে প্রথমে ওয়াজিব তিন তাকবীর বলে নিবে। আর রুকুতে পেলে যদি দৃঢ় বিশ্বাস হয় যে, তাকবীর বলেও ইমাম সাহেবকে রুকুতে পাবে তাহলে তাহরীমা বেঁধে দাঁড়িয়ে তাকবীর বলে নিবে, তারপর রুকুতে যাবে। আর দাঁড়িয়ে তাকবীর পড়তে পড়তে ইমাম সাহেবকে রুকুতে না পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তাহরীমা বেঁধে রুকুতে চলে যাবে এবং রুকুর তাসবীহ না বলে প্রথমে তাকবীর বলে নিবে, রুকুতে তাকবীর বলার সময় হাত উঠাবে না, এবং সময় পেলে রুকুর তাসবীহ পড়বে, না পেলে না পড়বে। আর তাকবীর শেষ করার পূর্বেই যদি ইমাম রুকু থেকে মাথা তুলে ফেলেন তাহলে মুক্তাদিও তুলে ফেলবে। তাকবীর বাকি থাকলে তা ক্ষমাযোগ্য।

লেখক : শিক্ষক, নাজিরহাট বড় মাদরাসা, চট্টগ্রাম ও নির্বাহী সম্পাদক, মাসিক দাওয়াতুল হক।

আরও পড়ুন