কথা রেখেছেন বীর বাহাদুর

NewsDetails_01

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির পরিবর্তে ঘুমধুমে স্থল বন্দর হচ্ছে জেনে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমার একটি লেখা গত ৩০ জানুয়ারি “স্থল বন্দরের সঠিক স্থান নির্ধারণে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী নজর দেবেন কি? শিরোনামে ”প্রকাশ করেছিল পাহাড়ের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘‘পাহাড়বার্তা’’। আর এই লেখায় দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এর।
জনগনের সেই দাবী সম্বলিত লেখার মূল্যায়ন করেছেন বীর বাহাদুর। শনিবার ৪ ফেব্রুয়ারী বান্দরবানের নাইক্ষংছড়িতে কলেজের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংবাদিকের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “সাংবাদিকের দৃষ্টি আকর্ষণ বিষয়টি তাঁর নজরে এসেছে”। এসময় তিনি বলেন, চাকঢালায় স্থল বন্দর স্থাপনের বিষয়ে এরই মধ্যে স্থল বন্দর নির্মাণ বিষয়ক প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। আপাতত চাকঢালায় বর্ডার হাট চালু করা হবে। এতে দুই দেশের মাঝে বাণিজ্য বাড়বে। পর্যটন নিয়ে কাজ করতে হবে এতে নাইক্ষ্যংছড়ির চেহারা পাল্টে যাবে।
এদিকে প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর তাঁর বক্তব্যে চাকঢালায় স্থল বন্দর স্থাপনের বিষয়ে আশ্বাস দেওয়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবর্গ প্রতিমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। নাইক্ষ্যংছড়ির তরুণ রাজনৈতিক তসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘বলেছিলাম বীর বাহাদুর জনগণের কথা রাখেন’। চাকঢালায় সীমান্ত হাটের পাশাপাশি স্থল বন্দর করার আশ্বাস দেওয়ায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানাই। চাকঢালায় স্থল বন্দর হলে উপজেলার সোনাইছড়ি, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর, দোছড়ি, বাইশারীর মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে চাকঢালা চেরারমাঠ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের জনবহুল ওয়ালিডং, ফকিরাবাজার হয়ে মংডু ও আকিয়াব শহরে সহজেই যাতায়ত সম্ভব। মাঝখানে বড় কোন নদীও নেই। গত কয়েক বছর পূর্বে থেকে মিয়ানমারের ওপারে সীমান্ত সড়ক গুলোও উন্নয়ন করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ সীমান্তে ট্রানজিট পয়েন্ট স্থাপনে বড় ধরনের কোন বাজেটেরও প্রয়োজন নেই। কয়েকটি ব্রিজ, কার্লভাট ও সীমান্তের কিছুটা সড়ক সংস্কার করা হলে দেশের উন্নত একটি বাণিজ্যিক পয়েন্ট চাকঢালা হবে বলে সচেতন মহল দাবী করেছেন।
লিখেছেন:
মো.আবুল বশর নয়ন
সাধারণ সম্পাদক
নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাব, বান্দরবান।

আরও পড়ুন