করোনায় কাপ্তাইয়ে ৯০০ সিএনজি চালকের মানবতার জীবন

NewsDetails_01

কাপ্তাইয়ের বড়ইছড়ি – ঘাগড়া সড়কে দীর্ঘদিন ধরে গাড়ী চালাইয়ে পরিবার চালায় ষাটোর্ধ বয়সী সিএনজি চালক উষা মারমা। বর্তমান পরিস্হিতিতে কেমন চলছে এই প্রশ্ন করা হলে, তারা বলেন খুব অভাব অনাটনে এই দিনগুলো চলছে। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাস্তায় গাড়ী চলাচল সীমিত এবং যাত্রী না থাকায় অনেকে এখন ঘরবন্দী।

মঙ্গলবার( ২০ এপ্রিল) কাপ্তাই উপজেলা সদর সিএনজি স্টেশনে কথা হয় চালক মোঃ কামাল, মো: আলমগীর , নামি মারমা এবং সুইলাচিং মারমার সাথে। তারা সকলে জানান, কঠোর লকডাউনে তাদের আয় বন্ধ, তারা কেউ সরকারি বরাদ্দ পাই নাই, কেউ খবর রাখে না, তাদের পরিবারের কথা।

রাংগামাটি জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন বড়ইছড়ি শাখার সভাপতি মো: আমির হোসেন জানান, তাদের সমিতির আওতায় প্রায় ২৬০ জনের কাছাকাছি সদস্য রয়েছে, এই মুহুর্তে সকল সিএনজি চালকরা বেকার হয়ে বসে আছে, সংগঠনের কল্যান ফান্ড না থাকায় কাউকে সহায়তা করতে পারছি না, তাই সকলকে সরকারি সহায়তা প্রদানের জন্য প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
কাপ্তাই নতুনবাজার অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক ইমাম আলী জানান, তাদের সমিতির ৩ শতাধিক চালক এখন মানবতার জীবন যাপন করছেন, কোন সরকারি বরাদ্দ তারা পান নাই, তাই এই সংকটকালীন মূহুর্তে তাদের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য তিনি সকলের নিকট অনুরোধ জানান।

NewsDetails_03

কেপিএম অটোরিকশা সমিতির সভাপতি মো: শাহজাহান জানান, তাদের স্হায়ী ও অস্হায়ী মিলে ৩০০ জন সদস্য আছেন, সবাই রাস্তার এখন গাড়ী নিয়ে বের হতে পারছেনা বিধায় আয় রোজগার এর পথ বন্ধ। এখন যদি প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিরা এগিয়ে না আসে তাহলে তাদের অনাহারে অর্ধাহারে থাকতে হবে।

কাপ্তাইয়ের রাইখালী সি এন জি মালিক সমিতির সভাপতি থোয়াই সা প্রু মারমা জানান, এই সমিতির অধীনে প্রায় ১২০ জনের মতো চালক গাড়ী চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। কঠোর লকডাউন এর ফলে তারা এখন বেকার হয়ে বসে আছে।

কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকার সিএনজি চালক দুলাল মল্লিক জানান, কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকায় ৬৫ জনের মতো সিএনজি চালক রয়েছে। কিন্ত কঠোর লকডাউন এর ফলে এখন যাত্রী নেই বললেও চলে।

এই বিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান এর দৃষ্টি আর্কষণ করা হলে তিনি জানান, এই মূহুর্তে কোন অসহায় গরীব সিএনজি, ভ্যান এবং রিক্সা চালক সরকারি সাহায্য হতে বঞ্চিত হবেন না, সকলের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। সরকারি বরাদ্দ আসলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে তাদের সহায়তা প্রদান করা হবে।

আরও পড়ুন