কল্পনা চাকমা অপহরণের তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান

NewsDetails_01

কল্পনা চাকমা
কল্পনা চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমা রোববার এক যুক্ত বিবৃতিতে ১৯৯৬ সালের কল্পনা চাকমা অপহরণ বিষয়ে আদালতে রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার কর্তৃক প্রদত্ত চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘এটিও পূর্বের তদন্ত প্রতিবেদনগুলোর মতোই পুরোপুরি সাজানো, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং স্পষ্টতই চিহ্নিত অপরাধীদের রক্ষার অপচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।’

সংবাদ মাধ্যমে দেয়া যুক্ত বিবৃতিতে নারী নেতৃদ্বয় বরাবরের মতোই দ্ব্যর্থহীন ভাষায় অপহরণের জন্য লে. ফেরদৌস গং’কে দায়ি করে বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ তদন্ত কর্মকর্তা রাঙামাটির পুলিশ সুপারের রিপোর্ট কখনই মেনে নেবে না এবং দেশের গণতান্ত্রিক শক্তির নিকটও তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

NewsDetails_03

বিবৃতিতে নারী অপহরণের ব্যাপারে ‘গণতদন্ত কমিশন গঠন’ এবং চিহ্নিত অপহরণকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘ঘটনার পর থেকেই সরকার ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অপহরণকারীদের রক্ষার মরিয়া চেষ্টা লক্ষণীয়। অপহৃতদের একজন কল্পনা চাকমার ভাই কালিন্দী কুমার চাকমার সাক্ষ্যসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও শক্তিশালী সাক্ষ্যপ্রমাণ ও আলামত থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় না এনে সরকার এটাই প্রমাণ করেছে যে, তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে আইনের শাসন ও সংবিধান-স্বীকৃত মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী নয়।’

বিবৃতিতে নারী নেতৃদ্বয় বলেন, ‘অপরাধ সংঘটনের ৪০ – ৪৫ বছর পর সরকার ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে এবং পরোক্ষ সাক্ষ্য ও বেঁচে যাওয়া ভিকটিমদের জবানবন্দীর ভিত্তিতে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করছে, অথচ পার্বত্য চট্টগ্রামের বেলায় ঠিক তার উল্টোটাই করছে, প্রত্যক্ষ সাক্ষ্যপ্রমাণ থাকা সত্তে¡ও কল্পনা চাকমার অপহরণকারীদের রক্ষা করে চলেছে।’

নেতৃদ্বয় অবিলম্বে টালবাহানা বন্ধ করে কল্পনা চাকমা অপহরণ ঘটনার সাথে জড়িত লে. ফেরদৌস, ভিডিপি নুরুল হক ও পিসি সালেহ আহম্মেদসহ তাদের সহযোগীদের গ্রেফতার করে বিচারের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান এবং তাদের জবানবন্দীর ভিত্তিতে কল্পনা চাকমাকে দ্রুত উদ্ধারের দাবি জানান।

আরও পড়ুন