কাপ্তাইয়ের চিৎমরম ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ !

NewsDetails_01

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের চিৎমরম ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার চসিংথোয়াই মারমা’র বিরুদ্ধে সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীদের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে তিনি জোর পূর্বক দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ভুক্তভোগী ছয়জন ভাতা গ্রহণকারী চিৎমরম ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে ভাতাভোগীদের আনা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান খ্যাইসা অং মারমা। তিনি অভিযুক্ত মেম্বারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, গত ২৯ আগস্ট কাপ্তাই উপজেলা সদর বড়ইছড়িস্থ জনতা ব্যাংকে বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতা উত্তোলন করতে যান চিৎমরম ইউনিয়নের ক্রা ঞাংপ্রু মারমা, হলাসাংপ্রু মারমা, কাংজোয়াং নু মারমা, মং সুই অং মারমা, মিসুই প্রু মারমা ও অংমাঞো মারমা। এসময় চিৎমরম ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার চসিংথোয়াই মারমা ও তার স্ত্রী আবু মা মারমা ভাতাভোগীদের কাছ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের খরচ বাবদ টাকা দাবী করেন। এবং ইউপি চেয়ারম্যান তাকে পাঠিয়েছেন বলে জানান। উপায়ন্তর না দেখে দরিদ্র ছয়জন ভাতাভোগী তার হাতে নগদ তিন হাজার টাকা তুলে দেন। টাকা নিয়ে চলে যাবার পর ভাতাভোগীরা প্রতারণার শিকার হয়েছে বুঝতে পেরে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ দিয়েছেন। এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
চিৎমরম ইউপি চেয়ারম্যান খ্যাইসা অং মারমা জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনা তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে তিনি অভিযোগকারীদের সাথে ঘটনার সমাধান করেছেন বলে শুনেছি। তারপরও এধরণের গর্হিত কাজের জন্য অভিযুক্ত ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তারিকুল আলম অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা জানিয়ে বলেন, দরিদ্র ভাতা ভোগীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা তদন্তে প্রমাণিত হলে মেম্বারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে

আরও পড়ুন