কাপ্তাইয়ে একটি সেতুর অভাবে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

NewsDetails_01

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ২ নং রাইখালী ইউনিয়ন এর ২ নং ওয়ার্ডের নারানগিরি খালের উপর একটি সেতুঁর অভাবে বছরের পর বছর ধরে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঐ এলাকায় বসবাসরত মোঃ রাশেদ, পলু মারমা, নান্টু দাশ, লোকমান, মানিক সহ অনেকেই। যার ফলে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছে অসংখ্য কোমলমতি স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী সহ এর আশেপাশে বসবাসরত হাজারো এলাকাবাসী। বিশেষ করে গর্ভবতি মা-বোন এবং মুমূর্ষু রোগীরা এই দূর্বল ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে প্রায় কোন না কোন দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

বর্ষাকালে উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ইতিমধ্যে আট থেকে দশ বার সাঁকোটি ভেঙে তল্পিতল্পাসহ কর্ণফুলী নদীতে তলিয়ে যায়।

বিশেষ করে নারানগিরিমুখ ১ নং পাড়ার প্রায় ৮ শত পাহাড়ী বাংগালী জনগণ এই সাকোঁটি ব্যবহার করে নারানগিরি স্কুল, রাইখালী বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা সদরে আসেন। এইছাড়া জগনাছড়ি, মৈদং পাড়া,ক্যাজাইয়া পাড়া, ডলুছড়ি পাড়ার লোকজনরাও নিত্য নৈমিত্তিক কাজে মাঝে মাঝে এই সাঁকো ব্যবহার করে নারানগিরি বৌদ্ধ বিহার, নারানগিরি স্কুল এবং রাইখালী বাজারে আসেন।

NewsDetails_03

এলাকাবাসীরা আরোও জানান, গত ২ বছর আগে বর্তমান পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি নারানগিরি বৌদ্ধ বিহার উদ্বোধনে এসে এই খাল পরিদর্শন করে এইখানে সেতু নির্মাণের গুরুত্ব আরোপ করেন। কিন্ত এখনোও তাদের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটে নাই। এলাকাবাসী দ্রুত এই খালের উপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।

রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক জানান, তাঁর এলাকায় অবস্থিত নারানগিরি খালের উপর এই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শত শত স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়ে সহ গ্রামবাসীরা তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী বাজারে বেচা বিক্রি করেন। বর্ষায় সাঁকোটি অনেকবার ভেঙে পড়ায় আমি অনেকবার এই সাঁকোটি তৈরী করে দিয়েছি। তবে এই খালের উপর সেতু হলে এইখানকার বসবাসরত জনগণের আত্মসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। শীঘ্রই এই খালের উপর এলজিইডি একটি সেতুঁ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে তিনি জানান।

এলজিইডি কাপ্তাইয়ের সিনিয়র প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, করোনার কারনে এতদিন এই সেতুঁর নির্মাণের কাজ পিছিয়ে পড়লেও ইতিমধ্যে এটা অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শীঘ্রই আমরা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাবো।

আরও পড়ুন