মেলাটি সরজমিনে ঘুরে আগত দর্শনার্থী ও নার্সারীর মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবারের কৃষি মেলাটি ছিল ক্রেতা শূণ্য, লোকজন নেই বললেই চলে,বেচা কিনা শুন্যের কোটায়। অনেক স্টল খালি পড়ে আছে কিন্তু আসেনি নার্সারীর মালিক।
এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রর্দশনীতে কোন দর্শনাথী নেই, বহু স্টল খালি পরে আছে। যা কয়েটি আছে তাতেও ক্রয়-বিক্রয় নেই বলেই চলে। বুধবার দুপুরে কথা হয় দর্শনার্থী মো. ফাররু জামাল ও কলেজ শিক্ষার্থী নুর ইসলামের সাথে। তারা জানান, আমরা এ ধরনের সাধা মাটা মেলা আর কখনও দেখি নেই, মেলাতে কিছুই নেই। তারা প্রত্যেকে কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের এ ধরনের আয়োজনকে নিয়ে হতাশ প্রকাশ করেন।
হাটহাজারী ফতেয়াবাদ নার্সারী মালিক আব্দুল কাদের বলেন, যে টাকা দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে মনভরা আশা নিয়ে এসেছি প্রদর্শনীতে, সে টাকা তো উঠেই নেই বাকি মালামাল আবার নিয়ে যেতে বাড়ি থেকে টাকা এনে বাড়িতে ফিরতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আজকে আমাদের এই অবস্থা হয়েছে। তারা ঠিক ভাবে মাইকিং এবং লিফলেট বিতরণ সহ যাবতীয় প্রচার প্রচারণা না করায় ব্যবসায়ীরা মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।
মুন্না-মুন্নি হটি কালচার নার্সারী মালিক মোঃ ইউনুস, ইদ্রিছ এরা জানান,মেলায় লোকজনের মোটেও আসছেনা। বিক্রয়ের অভাবে আমাদের মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। ভাতের পায়সা পর্যন্ত উঠে নেই। তারা জানান, পূর্বে আমরা এ ধরনের সাদামাটা জনশুন্য মেলা আর দেখি নেই বলেই তিনি হতাশ প্রকাশ করেন।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রুহুল আমিন জানান, প্রদর্শনী লোক খুব কম হয়েছে। তিনি নিজেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন । মেলাটিতে আরো ব্যাপক প্রচার প্রচারণা ও সকলের অংশগ্রহণের প্রয়োজন ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে উপজেলা কৃষি অফিসার সামসুল আলম চৌধুরী এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা তথ্য অফিস দিয়ে যতটুকু পেরেছি মাইকিং করেছি। ১২শত টাকা তৈল খরচও দিয়েছি। তিনি জানান, ১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩টি আসছে বাকি গুলো শুন্য পড়ে আছে। তবে বিক্রেতা ও দর্শনার্থী কেন মেলায় আসছেনা এ ব্যাপারে তিনি কোন সঠিক জবাব পাওয়া যায়নি ।
