কাপ্তাইয়ে মৃত্যুশয্যায় চিকিৎসাধীন মাকে খুঁজে ফিরছে ফারিয়া

বিস্ফোরণে নিহত বাবা, ভাই

NewsDetails_01

অবিস্ফোরিত গ্রেনেড যন্ত্রাংশ বিস্ফোরণে নিহত বাবা,ভাই ও মৃত্যুশয্যায় চিকিৎসাধীন মাকে খুুঁজে ফিরছে বেঁচে যাওয়া ছোট শিশু ফারিয়া।

আজ সোমবার সকাল ১১টায় দূর্ঘটনা এলাকা বাদশা মাঝির টিলায় সরজমিনে গিয়ে দেখাযায় বিস্ফোরণে বেঁচে যাওয়া একমাত্র মেয়ে ইসরাত জাহান ফারিয়া(৮), নিহত বাবা,ছোট ভাই ও মৃত্যুশয্যায় মাকে খুজঁছে।

ফারিয়া স্থানীয় দারুল আরকাম মাদ্রাসার ২য় শ্রেণীর ছাত্রী। দুর্ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণ আগে সে পাশের এক বাড়িতে সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল। ভাগ্যক্রমে সে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে।

প্রসঙ্গতঃ গত রবিবার কাপ্তাই উপজেলার ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়ন এর বাদশা মাঝির টিলার বাসিন্দা ইসমাইল মিয়া পরিত্যক্ত অবস্থায় বন হতে কুড়িয়ে পাওয়া অবিস্ফোরিত পুরাতন কিছু গ্রেনেড যন্ত্রাংশ বাসায় নিয়ে আসে এবং সন্ধ্যায় ৬টায় কুড়িয়ে পাওয়া ঐ যন্ত্রাংশ রান্নাঘরের পাশে রেখে চা খাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছিল ইসমাইল ও তার পরিবার। হঠ্যাৎ সেটি বিস্ফোরণে বিকট শব্দে কম্পিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।

NewsDetails_03

এসময় বিস্ফোরণে পাশে থাকা ইসমাইলের হাতের কবজি উড়ে যায় ও শরীর জ্বলসে যায়। এছাড়া পাশা থাকা তার সাড়ে ৪ বছরের শিশু রিফাতের মুখমণ্ডল জ্বলসে গিয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় সে। নিহত ইসমাইলের স্ত্রী সখিনা বেগম এ বিস্ফোরণে গুরুত্বর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে চট্রগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে। উপরোক্ত ঘটনার বিবরণ জানান নিহত ইসমাইলের ছোট বোন পারভিন আক্তার ও বৃদ্ধ বাবা আশাদ উল্লাহ।

ইউপি সদস্য আবুল হোসেন জানান বিস্ফোরণে নিহত ইসমাইলের ডান হাতের কব্জি উড়ে গেছে এবং পেট জ্বলসে গেছে। ঘটনার পর হতে গত দু’দিন যাবৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিস্ফোরিত যন্ত্রাংশ উদ্ধার করে কাপ্তাই পুলিশ ফাঁড়িকে দিয়েছে।

এদিকে লাশ সুরতহাল শেষে সোমবার বিকাল ৫টায় বাদশা মাঝির টিলায় পিতা-পুত্রের দাফন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব জানান কি ভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে তা এখন বলা যাচ্ছেনা, তদন্ত চলছে। তদন্ত পর প্রকৃত ঘটনা যানা যাবে।তিনি আরো জানান সৃষ্ঠ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি, আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

আরও পড়ুন