কাপ্তাই আসবাবপত্র শিল্পে মন্দাভাব : বেকার ও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে অনেকে

NewsDetails_01

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় নতুনবাজার, জেটিঘাট, কেপিএম, বড়ইছড়ি বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক আসবাবপত্র (ফার্নিচার) দোকান আছে। আর এই শিল্পের সাথে মালিক শ্রমিক’সহ ৫শতাধিক লোক জড়িত। গত দেড় বছর আগেও রমরমা ব্যবসা ছিলো এই খাতে। কাপ্তাই উপজেলা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এইখানকার ফার্নিচার নিয়ে যেতো ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা’সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন। কিন্ত করোনা ভাইরাস এর কারনে এখন এই ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে বলে জানিয়েছেন এই শিল্পের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে অনেকে বেকার ও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর যাবৎ এই ব্যবসায় মন্দাভাব চলছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

তাঁরা জানান, বাহিরে কোন অর্ডার না থাকায় এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যাংক ঋণ সময় মতো পরিশোধ করতে পারছেন না তাঁরা। করোনাকালীন অনেক লোকই প্রণোদনা পেলেও এই শিল্পের সাথে জড়িতদের কেউ কোন খবর রাখেনি বলে তাঁরা জানান।

NewsDetails_03

কাপ্তাই আসবাবপত্র (ফার্নিচার) ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি লিটন কান্তি দাশ জানান, ট্রানজিট পাস (টিপি)র মাধ্যমে সরকারি গাছের লট ক্রয় করে আমরা আসবাবপত্র তৈরী করে থাকি। কাপ্তাই হতে কোন ব্যক্তি বদলিজনিত এবং অবসরজনিত কর্মস্থল হতে চলে যাওয়ার সময় তাঁরা আসবাবপত্র নেওয়ায় জন্য জেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগ হতে বিশেষ পাশ নেয়। সে পাশ দেখিয়ে তাঁরা কাপ্তাই হতে রাঙামাটি জেলার বাহিরে এই আসবাবপত্র নেয়। সম্প্রতি কিছু প্রশাসনিক জটিলতার ফলে এই পাশ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়, ফলে এর প্রভাব এই শিল্পের উপর পড়ে।

কাপ্তাই আসবাবপত্র মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ রাকিব বলেন, লক্ষ লক্ষ টাকা বিভিন্ন ব্যাংক ঋণ নিয়ে আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছি। এখন আগের মতো অর্ডার কম, তাছাড়া যা আছে নানা জটিলতায় এই আসবাবপত্র বাহিরে সরবরাহ করতে পারছিনা। তিনি জানান, করোনাকালীন সময়ে অনেকে সরকারি প্রনোদনা পেলেও এই খাতে কোন প্রনোদনা দেওয়া হয় নাই। ফলে এই শিল্পে ধ্বস নেমেছে। অনেকে দেউলিয়া হয়ে চলে গেছে।

কাপ্তাই শাপলা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি ইকবাল হোসেন মাসুদ জানান, এ ফার্নিচার ব্যবসায় ধ্বস নামার পাশাপাশি এ কাজে জড়িত শত শত শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আসবাবপত্র শিল্পকে বাঁচিয়ে না রাখলে দেশ থেকে এই শিল্প হারিয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আরও পড়ুন