রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ১ নং চন্দ্রঘোনার ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে এখন সরগরম হয়ে উঠেছে কেপিএম এলাকা। সীমানা জটিলতায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এতদিন এই ইউনিয়নে নির্বাচন হয়নি। জটিলতা শেষ করে নির্বাচন কমিশন আগামী ১২ নভেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা দেওয়ায় প্রানচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে নির্বাচনী এলাকায়। গত কয়েকদিন নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে দেখা যায় নৌকা প্রতিক নিয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী( বেবী) এর পোস্টার ছাড়া অন্যান্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পোস্টার কিংবা প্রচারনা নাই।
ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী জাকির হোসেন এই প্রতিবেদকে জানান, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী, সমর্থকরা তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় প্রচার প্রচারনা না করার জন্য হুমকী প্রদান করেছেন, ফলে তার কর্মী সমর্থকরা মাঠে নামতে পারছেন না। তবে প্রশাসনের কাছে নির্বাচনের সুষ্ট পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবী জানান তিনি।
অপরদিকে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী জানান, নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের জোয়ার দেখে প্রতিপক্ষ মিথ্যার আশ্রয় গ্রহন করছেন। তিনি জনগনকে আগামী ১২ নভেম্বর নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতিক নিয়ে ইব্রাহীম হাবীব মিলু এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের হাত পাখা প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মৌলানা হারুনুর রশীদের কোনো প্রচার প্রচারনার দেখা মেলা ভার। তবে সমগ্র নির্বাচনী এলাকায় মেম্বার প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনায় সরগরম হয়ে উঠেছে।
নির্বাচনে রির্টানিং কর্মকর্তার দায়িত্বপালনকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া জানান, ইতিমধ্যে নির্বাচনে ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের তালিকা চুড়ান্ত করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্ততি নিয়ে রেখেছে।
নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম জানান, প্রশাসন একটি অবাধ সুষ্টু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। নির্বাচনে কোনো ধরনের সহিংসতা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বরদাস্ত করা হবেনা। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে আনসার, পুলিশের পাশাপাশি বিজিবির সদস্যরাও প্রতিটি কেন্দ্রে টহল থাকবে। সাথে থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাচনে ৯হাজার ৫৪০ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন আগামী ১২ নভেম্বর ৯ টি কেন্দ্রে।
