খাগড়াছড়িতে বিআরটিএ কর্মকর্তার যত কাণ্ড

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ি বিআরটিএ’র কার্যক্রম নিয়ে বিতর্ক যেন পিছি ছাড়ছে না। ঘুষ বাণিজ্য, দালাল চক্রের উৎপাত সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ বিআরটিএ’র কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। এবার পাবলিক পরীক্ষা চলাকালে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের জারি করা ১৪৪ ধারা অমান্য করে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ নিয়ে উঠেছে অভিযোগ।

জানা গেছে, আজ ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার্থীদের গণিত বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশের মাঠে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষা নিয়েছে খাগড়াছড়ি বিআরটিএ। ১৫০ জন ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রার্থীর পরীক্ষা গ্রহণ শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে।

অন্যদিকে জেএসসি পরীক্ষা শুরু হয় সকাল ১০ টায়। পরীক্ষা চলাকালে ১৪৪ ধারায় কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে ৫ জনের অধিক ব্যক্তির জমায়েত নিষিদ্ধ হলেও ১৫০ জন ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রার্থী, বিআরটিএ কর্মকর্তা কর্মচারী সহ শতশত উৎসুক জনতার ভিড় হয়। মাঠে সৃষ্ট উচ্চ শব্দে জেএসসি পরীক্ষার্থীদের মনোযোগ বিঘ্নিত হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন অনেক অভিভাবক।

NewsDetails_03

এবিষয়ে খাগড়াছড়ি বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক প্রদীপ কুমার দেব বলেন, পাশের কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষা চলছে সেটি তিনি জানেন না। জানলে তিনি অন্য স্থানে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করতেন।

খাগড়াছড়ি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, মাঠে বিআরটিএ’র ব্যবহারিক পরীক্ষার কারণে জেএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে অসুবিধা হচ্ছে এমন একাধিক অভিযোগ শুনে তিনি যাচাই বাছাইয়ের জন্য প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন।

১০ মিনিটে স্থান পরিবর্তন: জেলা প্রশাসককে মুঠোফোনে কল করে এবিষয়ে মন্তব্য নেয়ার ১০ মিনিটের (দুপুর ১২ টার কিছু আগে) মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষার স্থান পরিবর্তন করা হয়। খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পূর্ব প্রান্তে স্থানারিত করা হয় ব্যবহারিক পরীক্ষার কার্যক্রম।

আরও পড়ুন