খাগড়াছড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ি শহরের স্বণির্ভরস্থ এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে সাত জন নিহতের ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অন্যদিকে নির্মম এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের ধরতে ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে।
খাগড়াছড়ির জেলা পুলিশ সুপার আলী আহমেদ খান জানান, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সমন্বয়ে পুরো সপ্তাহ জুঁেড়ই যৌথ অভিযান চলবে। পরে প্রয়োজনে এই অভিযানের সময় আরো বৃদ্ধি করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে নিহত সাতজনের মধ্যে শনিবার রাতে ৩ জনের এবং আজ সকালে ৪ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ তাদের নিজ নিজ এলাকায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় এখনও কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম বলেন, খাগড়াছড়ির ৭ নিহতের ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে এই ঘটনারতদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন, খাগড়াছড়ি সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল, খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নয়ন ময় ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন মজুমদার।
প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ি স্বনির্ভর এলাকায় শনিবার সকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) খাগড়াছড়ি শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তপন চাকমাসহ ৭ জন নিহত হয়। এছাড়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৩ জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত হয়।

আরও পড়ুন