খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত : পাহাড় ধস অব্যাহত

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
চারদিন ধরে টানা বর্ষণে খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল আবারো প্লাবিত হয়েছে। এতে করে দীঘিনালার দুই ইউনিয়নসহ জেলার ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের শঙ্কাও রয়েছে।
গত শুক্রবার দুপুর মাইনী নদীর পানি বেড়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চল ডুবে গিয়ে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় রাঙামাটির লংগদু উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকায় করে চলাচল করছে দীঘিনালা উপজেলার পানিবন্দী শতাধিক মানুষ। পানির নিচে মেরুং বাজার তলিয়ে যাওয়ায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ মাইনী নদীর পানি বেড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে যাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দীঘিনালা উপজেলার শতাধিক একর আমন ধানের ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শনিবার বিকেল পর্যন্ত দীঘিনালা উপজেলার হাজাছড়া, ৩নং কলোনি এলাকায় পাহাড় ধসে ৪ টি বাড়ি ধসে পড়েছে। তবে লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে থাকায় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে দীঘিনালা উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) মো: মাহাফুজুর রহমান। তিনি বলেন, পাহাড়ী ঢলে মাইনী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ছোট মেরুং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্ধশতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা ১২ পরিবারকে রশিক নগর দাখিল মাদ্রাসায় রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পানিবন্দী মানুষদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হবে। অন্যদিকে, মাটিরাঙা উপজেলায় ধলিয়া নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে গ্রামীণ সড়ক। এতে করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে উপজেলার চরপাড়া এলাকার হাজারো মানুষ। ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে নদী তীরবর্তী বসতভিটা ও ফসলি জমি।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক রাশেদুল ইসলাম জানান, পানিবন্দী মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে, এছাড়া পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোকে নিরাপদে সরিয়ে আনতেও উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত খাগড়াছড়ি জেলার চেঙ্গী, মাইনী ও ফেণী নদী শাসন করা হয়নি। এতে করে নদীর গতিপথে পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া একদিনের বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত সহ বন্যার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।

আরও পড়ুন