খাগড়াছড়ির পৌর মেয়র রফিকুলসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম
বাঙালি ছাত্র পরিষদ নেতা মো. তারেক আজিজের উপর হামলার অভিযোগে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলমকে প্রধান আসামি করে অন্তত ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে আহত তারেক আজিজের পিতা মো. সৈয়দ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি (মামলা নং ৭) দায়ের করেন।
রোববার বিকালে খাগড়াছড়ি শহরে শুটকি পট্টিতে প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হন খাগড়াছড়ি জেলা শাখার তথ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. তারেক আজিজ (২৩)। তাকে প্রথমে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরে অবস্থার অবনতি ঘটায় রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৩ মে রাতে কতিপয় সন্ত্রাসীরা খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পরিমল দেবনাথের উপর হামলা করে। এ হামলার প্রতিবাদে ৪ মে খাগড়াছড়ি শহরে সচেতন ছাত্র ও যুব সমাজের ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তারেক আজিজ অংশ নেন। এতে মেয়র রফিকুল আলম ক্ষিপ্ত হয়ে তারেক আজিজকে মোবাইলে হত্যার হুমকি দেন।
বিষয়টি স্থানীয় ব্যক্তিদের জানালে মেয়র আরও ক্ষিপ্ত হয় ও তার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সহযোগিতায় ও হুকুমে ১৪ মে বিকালে তারেক আজিজের উপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। হামলার সময় সন্ত্রাসীরা তারেক আজিজের দুটি মোবাইল এবং ৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তারেক আজিজের বড় ভাই মো. সাদ্দামের অভিযোগ, কিছুদিন আগে পৌরসভার প্যানেল মেয়র পরিমল দেবনাথের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভে অংশগ্রহণের কারণে তারেক আজিজকে পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম হুমকি দিয়েছিলেন।
পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার কাউন্সিলর এসএম মাসুম রানা বলেন, কাউন্সিলর পরিমল দেবনাথের ওপর হামলাকারীরাই বাঙালি ছাত্র পরিষদ নেতার ওপর হামলা করেছে। কাউন্সিলর মাসুম রানা অভিযোগ করেন, প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া একের পর এক নিরীহ মানুষের ওপর হামলা হতে পারে না।
তবে খাগড়াছড়ির পৌর মেয়র রফিকুল আলম তারেক আজিজের উপর হামলার ঘটনায় তার লোকজনের সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি করে বলেন, ছেলেদের ছোট খাটো ঘটনা নিয়ে কেউ কেউ রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক, প্রশাসনকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আহব্বান জানান।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত তারেক মো. আব্দুল হান্নান জানান, হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের কোনো গাফিলতি নেই।

আরও পড়ুন