এ পর্যন্ত সংঘটিত জঙ্গী হামলার পেছনে জেএমবি, হরকত-উল জিহাদ, হিযবুত তাহরীরসহ দেশীয় জঙ্গী সংগঠনগুলোই প্রধানত দায়ী। জঙ্গী সংগঠনগুলোর পেছনে জামায়াত-বিএনপি-শিবিরসহ ধর্মীয় দলগুলোর সমর্থন ও ইন্ধন থাকাও বিচিত্র নয়। বান্দরবানের লামায় জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সমাবেশ এবং আইন শৃংখলা বিষয়ক এক মতবিনিময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি একথা বলেন।
শনিবার বিকাল ৫টায় লামা উপজেলা পরিষদ চত্বরে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। তিনি আরো বলেন,
দিবালোকের মতো সত্য যে, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী মানবতা বিরোধীদের বিচার ও মৃত্যুদন্ড কার্যকরকে উপলক্ষ্য করে দেশে জঙ্গী হামলা ও হত্যাকান্ড বেড়েছে। আমরা সবাই যদি আমাদের পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখি তাহলে সারা দেশ জঙ্গী মুক্ত রাখা সম্ভব।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন,জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক,জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, লামা-আলীকদম সেনা জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. সারোয়ার হোসেন, ৫৭ বিজিবি কমান্ডিং অফিসার লেঃ কর্ণেল মো. হুসাইন রেজা, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী,লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো. ইসমাইল প্রমূখ। পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি আরো বলেন,
দেশবাসিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, হত্যা, নাশকতা সৃষ্টিকারী ও এদের মদদদাতাকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। যারা ধর্মের নামে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, নাশকতা, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষকে হত্যা করে তারা দেশ ও জাতির শক্র।
উল্লেখ্য, আলোচনা সভা শেষে লামা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩শত গর্ভবতী ও দুগ্ধ মাকে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের “কর্মজীবি ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল” কর্মসূচীর আওতায় মাথাপিছু ৬হাজার টাকা করে সহায়তা অনুদান দেয়া হয়। প্রতিমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ থেকে দুস্থ, অসহায়, হতদরিদ্র ৪৮ জনকে একবান ঢেউটিন ও নগদ ৩ হাজার টাকা দেয়া হয়। এছাড়া গত ১৫ জুলাই ২০১৬ইং শুক্রবার লামা উপজেলার কেয়াজুপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী খোকন নাথ এর পরিবারকে জেলা প্রশাসক এর সহায়তা তহবিল থেকে ২০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।