টাকা নিয়ে উধাও হওয়া নৈশপ্রহরী রাঙামাটিতে আটক
বান্দরবানে আলীকদম উপজেলা আমার বাড়ী আমার প্রকল্পের (পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক) গ্রাহকদের ঋণের টাকা নিয়ে উধাও হওয়া একেই অফিসের নৈশপ্রহরী উসাইসুই মারমাকে আটক করেছে রাঙামাটি সদর থানা পুলিশ। আজ সোমবার (২৭ জুলাই) ভোরে রাঙামাটির একটি আবাসিক হোটেল থেকে নৈশপ্রহরীকে আটক করা হয়েছে।
গত রবিবার (২৬ জুলাই) জেলার আলীকদম সোনালী ব্যাংক থেকে ২২ লক্ষ প্রায় ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে উধাও হওয়া নৈশপ্রহরীকে আটক করার পর তার কাছ থেকে নগদ ৫ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা ও মোবাইলে প্রায় ৫ লক্ষ টাকাসহ মোট ১০ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা পাওয়া গেছে বলে জানান রাঙামাটি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির আহম্মদ।
তিনি আরও জানান, আলীকদম থেকে টাকা নিয়ে উধাও হওয়া নৈশপ্রহরী রাঙামাটি সদরের একটি হোটেল আত্মগোপন করে আছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে নগদ ৫ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা ও মোবাইল বিকাশ একাউন্টে ৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮২১ টাকা পাওয়া যায়। আলীকদম থানার কাছে তাকে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান।
আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রকিব উদ্দিন জানান, সরকারী টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনায় প্রকল্পের সমন্বয়ক ফেরদৌসী আক্তার বাদী হয়ে নৈশপ্রহরী উসাইসুই মারমা ও মাঠ সহকারী সাইদুল হাসানকে আসামি করে এজাহার দায়ের করেন। এরপর থেকে টাকা উদ্ধার করতে যা যা করণীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, উসাইসুই মারমার তথ্য অনুযায়ী এরই মধ্যে লামা পুলিশের সহায়তায় লামা পেট্রোল পাম্পের সামনে শাহিনের দোকান থেকে বাকী ১২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, বিশেষ সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারি নৈশপ্রহরী উসাইসুই মারমা রাঙামাটি সদরের শান্তি হোটেলে আত্মগোপন করে আছে। বিষয়টি রাঙামাটি সদরের পুলিশ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মহোদয়কে অবগত করা হয়, পরে রাঙামাটি সদর থানার সহযোগিতায় উসাইসুই মারমাকে শান্তি হোটেল থেকে আটক করা হয়। বর্তমানে উসাইসুই মারমা থানা হেফাজতে আছে। আসামী আনার জন্য পুলিশ টিম পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল প্রধান আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে এবং একেই মামলার দ্বিতীয় আসামী সাইদুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজকে আদালতে পাঠানো হয়।