সরজমিনে দেখা যায়, বর্তমান উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ ভবনের সম্মুখে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে আরেকটি নতুন করে ভবন নির্মাণের জন্য মাটি কাটার কাজ সম্পন্ন হলেও দীর্ঘ ৪ মাস যাবৎ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় গত বুধবার (২ জুলাই) থেকে লাগাতার বৃষ্টি হওয়ার ফলে পুরাতন ভবনটির পিলারের গোড়া থেকে রক্ষিত মাটি সরে যায়। এছাড়া ভবনটির বারান্দায় বিভিন্ন অংশে বর্তমানে ফাটলও ধরেছে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে পড়ালেখা ও আসা-যাওয়া করছেন।
বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছালেহা ছিদ্দিকা বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বর্তমান দ্বিতল ভবনের সম্মুখে বিশাল গর্ত খুড়ে পুকুরে পরিণত করেছে। বিদ্যালয় প্রাঙ্গন, আসা-যাওয়ার রাস্তা এবং বর্তমান যে ভবনটিতে পাঠদান চলছে নিচের তলায় বারান্দায় ফাটল ধরায় আমরা শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকিতে আছি।
পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুল মাবুদ বলেন, বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে বর্তমানে প্রায় ৮ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। সকল শিক্ষার্থীরা দ্বিতল ভবনটিতে নিচে এবং উপরের তলায় পাঠ্য কার্যক্রম চালিয়ে যান। নিচের তলার পিলারের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায়, এখন ছাত্র-ছাত্রীরা ভয়ের মধ্যে রয়েছে। কারণ পুরো দ্বিতল ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ।
বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হরি কান্ত দাশ বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের ফলে তড়িৎ ভাবে ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন না করায় পুরাতন দ্বিতল ভবনের পিলার থেকে মাটি সরে যাচ্ছে এবং বারান্দার অনেক স্থানে ফাটল ধরেছে। তিনি চরম ঝুঁকির বিষয়টি গভর্নিং বডির সভাপতি ও বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানীকে অবহিত করেছেন।
গভর্নিং বডির সভাপতি ও বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানী জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও দায়িত্বে নিয়োজিত প্রকৌশলীকে মোবাইল ফোনে অবগত করেছেন। তারা ঝুঁকিপূর্ণ এড়াতে তড়িৎ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত ঠিকাদার মোঃ জসিম উদ্দিন মুঠোফোনে জানান,তিনি বিষয়টি শুনেছেন, ভবনটি ঝুকিপূর্ণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
