খাগড়াছড়ির পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিলো মা ও তার ৬ বছর বয়সী একমাত্র ছেলের প্রাণ। এ দুর্ঘটনায় গুরতর আহত একমাত্র মেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী-পুত্রকে হারিয়ে অনেকটাই নির্বাক একটি বেসরকারী কোম্পানীতে এসআর পদে কর্মরত মো: আরিফুল ইসলাম সাব্বির। কিছুতেই স্ত্রী-পুত্র হারানোর শোক সইতে পারছেনা। তার দু‘চোখ যেন খুঁজে ফিরছে সেই প্রিয় মুখগুলোকে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামগামী যাত্রীবাহি বাসে করে পুত্র-কণ্যাকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসছিল মো: আরিফুল ইসলাম সাব্বির‘র স্ত্রী মহিমা আকতার। কিন্তু এ আসা যে শেষ আসা হবে তাকি জানতো দুই সন্তানের জননী মহিমা আকতার। মহিমা তার বাবার বাড়িতে এসেছে তবে শেষ বারের মতো। যেন এটাই বাবার বাড়িতে মহিমা আকতারের শেষ আসা।
এদিকে মহিমা আকতার ও তার ছেলে আল আমিনের মৃত্যু সংবাদে শোকের মাতম বইছে নিহতের বাবার বাড়ি মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ইসলামপুর গ্রামে। বারবারই মুর্ছা যাচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মহিমা আকতারের বিধাব মা। জ্ঞান ফিরেই প্রশ্ন করছে কেন এমন হলো..? অকালে কেন ঝড়ে গেল দুটো তাজা প্রাণ। বিকালের দিকে নিজের কর্মস্থলের কাজ শেষে মো: আরিফুল ইসলাম সাব্বিরেরও শশুর বাড়িতে আসার কথা ছিল কিন্তু সাব্বির শশুরালয়ে এসেছে তবে স্ত্রী-পুত্রের নিথর দেহ দুটি নিয়ে।
স্ত্রী-পুত্রকে হারিয়ে হতবাক সাব্বির এ প্রতিনিধিকে জানায়, সকালে কর্মস্থলে যাবার সময়ই শেষ কথা হয়েছিল। কিন্তু এটাই যে শেষ কথা হবে এমন তো কথা ছিলনা।
এদিকে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ইসলামপুর গ্রামে মহিমা আকতারের লাশের পাশে যখন ছেলে আল-আমিন‘র নিথর দেহ পড়ে আছে তখন হাসপাতালের বেডে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে তার একমাত্র মেয়ে ফাতেমা জান্নাত শান্তা।