তিন বছর পর পর প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হবে

NewsDetails_01

ছবি : শিক্ষা মন্ত্রণালয় লগো
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষককে তিন বছরের বেশি সময় রাখা হবে না। অনেক শিক্ষক একই স্থানে থেকে বছরের পর বছর ধরে চাকরি করে নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকছেন না। অনেকে আবার নয় বা দশ বছরও একই বিদ্যালয়ে থাকায় ক্লাসেই আসেন না। আজ বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে কারিতাস আলোঘর প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধান শিক্ষক টিও অফিসে কাজের কথা বলে চায়ের দোকানে গিয়ে আড্ডা দেন। যখন বিদ্যালয়ের অভিভাবক থাকে না, তখন ঠিকমত ক্লাস হয় না। এই অবস্থা পাল্টাতে প্রত্যেক স্কুলে একজন করে অফিস সহকারী নিয়োগ দেওয়া হবে। যাতে করে প্রধান শিক্ষককে টিও অফিসে যেতে না হয়। মানসম্মত শিক্ষা চালু করতে গিয়ে যা করা প্রয়োজন, তার সবই সরকার করবে।
মো. জাকির হোসেন বলেন, দেশের দুর্গম চর অঞ্চলে কিভাবে বাচ্চাদের পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হবে সে বিষয়টিও দেখবে সরকার। তিনি বলেন, ছোট বাচ্চাদের ঘাড়ে অতিরিক্ত বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে তাদের মেধা নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। কেজি স্কুল বাচ্চাদের সর্বনাশ করছে। সরকার এ ব্যাপারে বাস্তবমুখী ও যুগোপযোগী শিক্ষা চালু করতে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, আদিবাসি, উপজাতি বুঝি না, বিভিন্ন ভাষাভাষী আছে, তাদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষা দেওয়া হবে। এজন্য সংশ্নিষ্ট এলাকা থেকে শিক্ষক নেওয়া হবে। তারা নিজেদের ভাষা শেখানোর পাশপাশি বাংলা ও ইংরেজি ভাষাও শিক্ষা দেবেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কারিতাস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ফ্রান্সিস অতুল সরকার, আলোঘর প্রকল্পের পরিচিতিমূলক বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান শিশির অ্যাঞ্জেলা রোজারিও। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ।
কারিতাস বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডক্টর ফাদার প্রশান্ত রিজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত হেড অব অপারেশনস দোরথে বোসে, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর পরিচালক (অর্থ প্রশাসন ও বাস্তবায়ান) একেএম মাহবুবুর রহমান সরদার প্রমুখ।

আরও পড়ুন