দীপংকর তালুকদার পেলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব
জাতীয় সংসদের খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন রাঙামাটি-২৯৯ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ নাসিমের মৃত্যুতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির শুন্য হওয়া সভাপতির পদে তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। আজ বুধবার (৮ জুলাই) তাকে এ পদে মনোনীত করা হয়।
এদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় দীপংকর তালুকদারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনসহ স্থানীয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ।
দীপংকর তালুকদার দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট ছয়টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়বার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে সে সময় দীপংকর তালুকদার দায়িত্বপালন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান হিসেবে। পরে ২০০৯ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্বপালন করেন তিনি। বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসাবে নিযুক্ত আছেন।
এছাড়াও আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে সংস্থাপন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, বন ও পরিবেশ স্থায়ী কমিটি, শিক্ষার স্থায়ী কমিটি ও জাতীয় সংসদ হাউস কমিটির সদস্য ছিলেন।
দীপংকর তালুকদার ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে ১২ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। উনসত্তর ও সাতাশির গণঅভ্যূত্থানে অংশগ্রহণ করে তিনি দুইবার কারাবরণ করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭২-৭৩ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের ছাত্র সংসদের সদস্য এবং ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩-৭৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং ইংরেজি বিভাগীয় সমিতির প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।