দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত সেই প্রাথমিক শিক্ষক বরখাস্ত 

NewsDetails_01

দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে দুর্নীতি ও অনিয়মের সত্যতা পাওয়ায় বান্দরবানের রুমা উপজেলায় এক শিক্ষককে সরকারী চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। বরখাস্তকৃত শিক্ষকের নাম উসা চিং মারমা। তিনি জেলার রুমা উপজেলায় গালেঙ্গ্যা ইউনিয়নের যথুরাম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অনুমোদনক্রমে তাঁকে সরকারি চাকরী হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানের রুমা উপজেলায় গালেঙ্গ্যা ইউনিয়নের যথুরাম পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উসা চিং মারমা এর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ও অনিয়মের বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে অভিযোগ দাখিল করা হয়। অভিযোগটি তদন্ত করে কমিশন থেকে নির্দেশ প্রাপ্ত কর্মকর্তা। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন হতে প্রাপ্ত তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় বান্দরবান জেলা পরিষদ অনুমোদনক্রমে সরকারী হতে তাকে চাকুরী সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সফিউল আলম গত ১৫ নভেম্বর এই সাময়িক বরখাস্ত আদেশ পত্রে স্বাক্ষর করেন।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, সাময়িক বরখাস্তকৃত শিক্ষক মূল বেতন বাদ দিয়ে অন্যান্য ভাতাদি পাবেন। এটা বরখাস্তকালিন প্রচলিত বিধি বিধানের নিয়ম। এটাকে খোরপোষ ভাতাও বলা হয়।

NewsDetails_03

স্থানীয়রা জানান, জেলার আলোচিত এই উসাচিং মারমা সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাঘমারা হেডম্যানপাড়া বাসিন্দা গংজক মারমার ছেলে।

এব্যাপারে বরখাস্তকৃত শিক্ষক উসা চিং মারমা বলেন, ষড়যন্ত্রমূলক ও অন্যায় ভাবে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ আদেশের বিরুদ্ধে নিয়ম মেনে যথা সময়ে বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট আপীল করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৯ আগস্ট বান্দরবানের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সংলগ্ন আইনজীবি সমিতি মিলনায়তনের পাশে এক মক্কেলের সাথে মামলার বিষয়ে তদবীর করার সময় আইনজীবিদের সন্দেহ হলে শিক্ষক উসাচিং মারমা নিজেকে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী পরিচয় দেন এবং সে বান্দরবানে আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনার জন্য আসছেন বলে জানান।

এসময় তাকে তার পরিচয়পত্র দেখানোর জন্য বলা হলে সে বিভিন্ন ধরণের অসংলগ্ন কথা-বার্তা বলতে শুরু করেন। সে আইনজীবী না হয়েও দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রত্যক্ষ ভাবে মামলার তদবির করে নিরহ লোকজন থেকে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে উসাচিং মারমাও প্রতারণা করার কথা স্বীকার করলে তৎসময়ে তাকে পুলিশ আটক করে।

আরও পড়ুন