চট্টগ্রামের সিতাকুণ্ডে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত জঙ্গি দম্পতি ও তাদের ছয় মাস বয়সী শিশুর লাশ স্বজনরা গ্রহন না করার কারনে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীর নিজ এলাকায় দাফন হলোনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিহত জঙ্গিদের পরিবার লাশ গ্রহন না করার কারনে সোমবার আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ হস্তান্তর করা হলে বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার চৈতন্যগলি কবরস্থানে তিনজনকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়। জঙ্গি দম্পতি হলেন কামাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী জোবায়রা। এর আগে জঙ্গি কামালের বাবা মোজাফফর আহমেদ এবং জোবায়রার বাবা নুরুল আলম ও ভাই জিয়াবুল হক চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে লাশ শনাক্ত করেন কিন্তু তারা লাশ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।
নিহত জোবায়রার ভাই জিয়াবুল হক বলেন, ‘তাদের এসব কাজে আমরা খুবই লজ্জিত বোধ করছি। তাই দাফন করার জন্য আমরা তাদের লাশ গ্রহণ করিনি।’
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সন্ধ্যার পর সীতাকুণ্ডের ‘সাধনকুটির’ বাড়ি থেকে জসিম ও আরজিনাকে আটক করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। জঙ্গি হাসানসহ তাদের বাড়ি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে।