নাইক্ষ্যংছড়িতে সম্ভাব্য দুই স্থল বন্দর পরিদর্শনে যাচ্ছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী ও পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

NewsDetails_01

নৌ পরিবহন মন্ত্রী ও পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্যের দ্বার আরো একধাপ উম্মোচন করতে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত চাকঢালা ও ঘুমধুম সীমান্তে সফরে যাচ্ছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খাঁন ও পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর সকালে গাড়ি যোগে রওয়ানা হয়ে প্রথমে দুই মন্ত্রী নাইক্ষ্যংছড়িতে আসার কথা রয়েছে। সরকারি কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউনিয়নের চাকঢালা এবং ঘুমধুম স্থল বন্দর এর জন্য নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করবেন। পরে চাকঢালার আমতলী মাঠে এলাকাবাসীর সাথে মন্ত্রীর মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হওয়ার কথাও রয়েছে। এরপর ঘুমধুম ইউনিয়নের বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক নির্মাণ কাজের গুণগত মান ও অগ্রগতি পরিদর্শন করে প্রকল্প বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার কথা রয়েছেন। ইতিমধ্যে নৌপরিবহন ও পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চাক ঢালা ও ঘুমধুম ইউনিয়নে আগমন সফল করার লক্ষ্য মন্ত্রীর সফর সুচীর স্থান সমুহ পরিদর্শন করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি ।
সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্ত চাক ঢালার পার্শ্ববর্তী রামুর কচ্ছপিয়া,গর্জনিয়া এবং সীমান্ত ঘুমধুমের পার্শ্ববর্তী উখিয়া ও টেকনাফের প্রায় ছয় লাখ মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দু’দেশের প্রয়োজন মাফিক আমদানী-রপ্তানির নতুন এক দিগন্ত উম্মোচিত হবে। চাক ঢালা ও ঘুমধুমের স্থল বন্দর নির্মাণে কাজ করছেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
আর এদিকে, গত বছর নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি স্থল বন্দর নির্মাণ করা হবে বলে ঘোষণা দেন। তার মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় দুইটি। এতে বান্দরবানে স্থল বন্দর নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে গুরুত্ব পায় নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তের চাক ঢালা ও ঘুমধুম। যাহা নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউনিয়নের চাক্ ঢালা ও ঘুমধুম ইউনিয়নবাসির দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী ছিল। কারণ বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক পয়েন্ট যেহেতু ঘুমধুম তাই স্থলবন্দর চাকঢালা ও ঘুমধুমে হওয়াটা শতভাগ যৌক্তিক বলে মনে করেন এখানকার সাধারণ মানুষ। তাই স্থল বন্দর চাকঢালা সীমান্তে এবং সীমান্ত ঘুমধুমে স্থাপন করার জন্য নাইক্ষ্যংছড়িবাসি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এর নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে আমি ইতিমধ্যেই চাকঢালা এবং ঘুমধুম পয়েন্ট পরিদর্শন করেছি। চাকঢালা এবং ঘুমধুমের স্থল বন্দর নির্মাণের সম্ভাবনা রয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন,সম্ভাব্য এই দুই সীমান্ত পয়েন্টে পরিবেশ, পরিস্থিতি ও সীমান্তের নিকটবর্তী হওয়ায় স্থল বন্দর নির্মাণের জন্য এই পয়েন্ট দুইটি উপযুক্ত স্থান। গত ২০১৭ সালে নৌ পরিবহন মন্ত্রী এই দুই পয়েন্টে স্থল বন্দর হওয়ার ঘোষণাও দেন। এ দুটি স্থাপিত হলে পাশ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়িসহ রামু, উখিয়া এবং টেকনাফ উপজেলার প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষ উপকৃত হবে, যেটি আমাদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী ছিল।

আরও পড়ুন