নিজ দেশে ফিরলেন রুমার ২৮ শরর্ণাথী

NewsDetails_01

বান্দরবানের রুমা সীমান্তে শরণার্থী
বান্দরবানের রুমার ৩নং রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চইক্ষ্যং পাড়ায় অবস্থান করা ৩৮ পরিবারের মধ্যে ৮ পরিবারের ২৮জন শরর্ণাথী নিজ দেশে ফেরত গেছে। আরো অনেকে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তারা সবাই মায়ানমারের কাচিন স্টেটের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বাসিন্দা। গত ৪ ফেব্রুয়ারি পরিবারের শিশু সন্তানদের নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে তারা অনুপ্রবেশ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার জেলার রুমা সীমান্তের পাহাড়ী পথ দিয়ে তারা নিজ দেশে ফিরে গেছে। বান্দরবান বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল জহিরুল হক খান ৮ টি পরিবার ফিরে যাবার তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, রুমা সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করার পরও বিজিবির কড়া প্রহারায় বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারায় তারা নিজ দেশে ফিরে গেছে।
আরো জানা গেছে, সরকারী তথ্য মতে শরর্ণাথীর সংখ্যা ১৬০ জন দাবী করা হলেও স্থানীয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়,মিয়ানমার থেকে আসা শরর্ণাথীর সংখ্যা রাখাইন,খ্যও এবং খুমি সম্প্রদায়ের মিলে ২০৩ জন।
মিয়ানমারের চিন স্টেট এর পালেটওয়া জেলার খামংওয়া রোয়া এলাকা থেকে তিন ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে রুমায় আসা রেদাকশে (৩৫) বলেন, আমরা পরিস্থিতি একটু শান্ত হলে দেশে ফিরে যাবো।
এদিকে গত রবিবার বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইন শৃংঙ্খলা ও মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন,পার্বত্য এলাকায় কোন শরর্ণাথী অবস্থান করতে পারবে না, আমাদের দেশের নাগরিক নয় এমন কোন ব্যক্তিকে কেউ আশ্রয় প্রশয় দিবেন না। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য এলাকায় কোন শরর্ণাথী থাকবে না,ভিনদেশী রোহিঙ্গাদের পার্বত্য এলাকা বাদ দিয়ে ভিন্ন জায়গায় অবস্থানের কথা প্রশাসনের ভাবতে হবে।
এই ব্যাপারে বান্দরবান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এই ব্যাপারে এখন কোন তথ্য দিতে পারবোনা, আপনি (প্রতিবেদক) অন্যভাবে তথ্য সংগ্রহ করেন।

আরও পড়ুন