পার্বত্য এলাকার শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনে ভিক্ষা করব : বীর বাহাদুর

NewsDetails_01

বান্দরবানের ডনবস্কো উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করছে প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি
পার্বত্য এলাকার শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনে ভিক্ষা করব,তবু আমাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করবো। আমরা সবাই চাইলে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাবে। শুক্রবার সকালে বান্দরবান সদরের ডনবস্কো উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান একথা বলেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এসময় বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্টানে প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা,পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো;কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শফিউল আলম,পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ,কাঞ্চনজয় তংচঙ্গ্যা, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ব্রাদার সিলভেস্টার মৃধা,সহকারি শিক্ষক রুপন কুমার দে,শীতল চন্দ্র দেব,রাসেল আহম্মদ,মিজানুর রহমান,ইয়াছমিন আক্তার, বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো:রফিকউল্লাহসহ অনেকে।
প্রতিমন্ত্রী এসময় আরো বলেন,শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণেই আজ শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। নারীদের জন্য বিভিন্ন সেবামুলক কর্মকান্ড ছাড়া ও প্রত্যেক সেক্টরে আজ উন্নয়ন অব্যাহত আছে। এসময় তিনি আরো বলেন , শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষকদের আরো অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে। যে সমস্ত শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে দুর্বল তাদের নিয়মিত ক্লাস শেষে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে মেধার বৃদ্ধি করতে হবে।
এসময় দৌড়,দীর্ঘলাফ,হাড়িঁ ভাঙ্গা, বাজনা শেষে বালিশ কোথায়,ব্যাড মিন্টন প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেয়া বিজয়ী প্রতিযোগিদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা। অনুষ্টানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য হারমোনিয়ার তবলা প্রদান, বিভিন্ন শ্রেণী কক্ষে ফ্যান লাগানোর জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা ও বার্ষিক শিক্ষা সফরের জন্য এক লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী অনুষ্ঠানে নিজ খরচে ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ ফাইভ নিয়ে কৃতকার্য হওয়া প্রতিজন শিক্ষার্থীকে দশ হাজার টাকা ও কলেজে ভর্তির যাবতীয় খরচ বহন করার ঘোষনা দেন।

আরও পড়ুন