পার্বত্য মন্ত্রী হিসেবে বীর বাহাদুরকে দেখতে চায় পাহাড়ের জনগণ। সম্প্রতি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করার পর পরই সাধারণ মানুষ এই বীরকে (বীর বাহাদুর উশৈসিং) আবার ও দেশ ও জনগণের সেবার জন্য কাজ করার অঙ্গীকার নিয়ে ৩০০ নং আসন থেকে পার্বত্য মন্ত্রী হিসেবে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করছে ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সাচিং প্রু জেরীকে ৮৫ হাজার ২শত ৪৭ ভোটে পরাজিত করে বান্দরবান ৩০০ নং আসনে থেকে ৬ষ্ঠ বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয় পাহাড়ের ক্লিন ইমেজের নেতা বীর বাহাদুর উশৈসিং। গত ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বীর বাহাদুর উশৈসিং মোট ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯শত ৬৬ ভোট। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত নিকটতম প্রতিদন্দী সাচিং প্রু জেরী মোট ভোট পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৭শত ১৯ ভোট।
এর পর পরই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বান্দরবানের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বীর বাহাদুর উশৈসিং। বীর বাহাদুরের জয়ে উচ্ছাসিত পার্বত্য জেলাসহ বান্দরবানবাসী। ফুলে ফুলে ভালোবাসায় সিক্ত করতে প্রতিনিয়তি বান্দরবানে বীর বাহাদুরের ঘরে ভীড় করেন বান্দরবান জেলার ৩৩ টি ইউনিয়ন ২টি পৌরসভার ও ৭ টি উপজেলার সাধারণ মানুষেরা।
গত ৩ জানুয়ারি নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যর শপথ গ্রহণের পর ৭ জানুয়ারি (সোমবার) নতুন মন্ত্রীসভার শপথ গ্রহণ করার কথা। পার্বত্য শান্তিচুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য মন্ত্রণালয়টি একমাত্র ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠিদের জন্য সংরক্ষিত থাকায় ইতিমধ্যে দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে। বান্দরবান আসনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সাচিং প্রু জেরীকে রেকর্ড পরিমাণ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত পার্বত্য বীর নামে খ্যাত বীর বাহাদুরকে এবার পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান পার্বত্যবাসী। পার্বত্য জেলার তিনটি আসন থেকে সাধারণত দেয়া হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, আর সেই আশায় বিগত ৬ বারের নির্বাচিত বীর বাহাদুরকে পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় পাহাড়ের মানুষ। আর বীর বাহাদুর উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলাকে আধুনিক ও উন্নত মানের জেলায় রুপান্তর করার কারনে এবং কেন্দ্রিয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন কালে ব্যাপক অবদানের কারনে এমন দাবী জানান স্থানীয়রা।
আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, বর্তমানে বান্দরবানসহ পার্বত্যাঞ্চল আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে রূপান্তর করেছে বীর বাহাদুর। এখানকার রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানসহ পার্বত্য শান্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে বীর বাহাদুরের অবদান সবচেয়ে বেশি। বান্দরবান জেলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল। বান্দরবান জেলা একসময় ছিল একটি অনগ্রসর জেলা। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা হাত ধরে বীর বাহাদুর এর নেতৃত্বে বান্দরবানসহ অপর দুই পার্বত্য জেলা আজ একটি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে।
বীর বাহাদুর মানে পাহাড়ের উন্নয়নের ঝলক, বীর বাহাদুর মানে উন্নয়নের মহা সড়কে পার্বত্য জেলা। বীর বাহাদুরের রাজনীতিতে নেই কোন হিংসে,নেই কোন লোভ। আমরা চাই আবারো দেশে আওয়ামীলীগ সরকার নতুন সরকার গঠন করুক। নতুন সংসদ সদস্য হিসেবে ৩০০ নং আসন থেকে বীর বাহাদুর উশৈসিং শপথ নিয়ে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করুক।
বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাস জানান,আমাদের প্রত্যাশা আগামী দিনে এই পার্বত্য বীরকে (বীর বাহাদুর) মন্ত্রী সভায় পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করা হোক,যার ফলে তিনি পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে দেশ ও জাতির সেবা করতে পারে। লক্ষীপদ দাশ আরো জানান, বীর বাহাদুর উশৈসিং একজন সৎ নির্ভিক ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। দীর্ঘ ২৫ বছর তিনি পার্বত্য জেলা বান্দরবান থেকে সফল এমপি হিসেবে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে ,সেই সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে পার্বত্য এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। বীর বাহাদুরের আমলেই শান্তি ধারা অব্যাহত রয়েছে পার্বত্য এলাকায় আর শান্তি সম্প্রীতিতে পাহাড়ী বাঙ্গালী সবাই সহ অবস্থানে সুন্দরভাবে জীবন ধারণ করে যাচ্ছে।
বান্দরবান পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ জানান, ষষ্ঠবারের মত নির্বাচিত বীর বাহাদুর শুধু বান্দরবানের গর্ব নয়,তিনি পুরো দেশে আওয়ামী লীগের অহংকার। তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে সংসদ সদস্য পদে রয়েছেন,উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বে ছিলেন,বাফুফের দায়িত্বে ছিলেন,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন, এমনকি তিনি বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছে। আমি চাই আগামী সংসদে তাকে পূর্ণ মন্ত্রীর সম্মান দেয়া হবে এবং আমি আরো মনে করি বীর বাহাদুরের যে বীরত্ব ও গুন রয়েছে যার ফলে যে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হোক না কেন, তিনি সেই মন্ত্রণালয়কে সু-সংগঠিত করে দেশ ও জাতির সেবায় আরো অগ্রণী ভুমিকা রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করবে।