পাহাড়ি এলাকায় ইঞ্জেকশন দিয়ে মোটা-তাজা না করে যত্ন করে পশুকে বড় করা গরু পাওয়া যায়। এ বিশ্বাসে পটিয়া থেকে গরু কিনতে ছুটে এসেছেন নুরুল হাকিম । তারই মত চট্টগ্রামের পটিয়া, লোহাগাড়া, কেরানীহাট সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির গরু কেনার জন্য অনেকে ছুটে আসছেন বান্দরবানের বিভিন্ন পশুর হাটে।
আসন্ন ঈদুল-আযহা উপলক্ষে বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলার কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদাচারণে । ঈদ যতো এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে বেচা-কেনা।
সরজমিনে বান্দরবানের সবচেয়ে বড় পশুর হাট রাজার মাঠ পশুর হাটে দেখা গেছে, হাটগুলোতে প্রাধান্য পাচ্ছে বাড়িতে পালা এবং খামারে পোষা ছোট-বড় ও মাঝারি আকারের অসংখ্য দেশীয় গরু । তবে ক্রেতারা বলছেন, হাটে এখন দেশি গরুর দাম বেশি। হাট ঘুরে গরু দেখলেও না কিনে অপেক্ষা করছেন অনেক ক্রেতাই। ৩০ হাজার থেকে শুরু করে দুই লাখ টাকার গরুও হাটে এসেছে। হাটে গরুর পাশাপাশি ছো্ট-বড় ছাগলও দেখা গেছে ।
ক্যাচিং ঘাটা থেকে গুরু কিনতে আসা আরমান নামে এক ক্রেতা বলেন, গত বছরের চেয়ে গরুর দাম অনেক বেশি ।
দাম বেশি হওয়ায় কারণ জানতে চাইলে জেলার বালাঘাটা থেকে আসা বিক্রেতা নুরুল আলম বলেন, বাহিরের গরু না আসায় আর পাহাড়ি গরুর কদর থাকায় দাম একটু বেশি ।
ইজারাদাররা জানান, অনেকেই দাম যাচাই করার জন্য হাটে এসেছেন। তাই ক্রেতা উপস্থিতির তুলনায় বিক্রির সংখ্যা ছিল খুব কম।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, হাটগুলোতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জাল নোট শনাক্তে পশুর হাটে মেশিন বসানো হয়েছে।