পাহাড়ের চুড়ায় ৩৫ বছরের পানির কষ্ট দূর করলো সেনাবাহিনী
যাদের জীবন ছিলো জন্মের পর থেকেই পাহাড়ের চুড়া থেকে পানি এনে জীবন যাপন করা। তারা এখন সুপেয় পানি পাচ্ছে হাতের নাগালে। এতে যেমন সময় অপচয় কমে গেছে তেমনি কষ্ট লাগব হয়েছে অনেক বেশি।
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা সদর ইউপির আলুটিলা পূবর্বাসন এলাকায় পাহাড়ের চুড়ায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ১৬০ পরিবারের মাঝে এই সূপেয় পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ান।
আজ শনিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় মাটিরাঙ্গা সদর ইউপির পুনর্বাসন এলাকায় এই পানির প্রকল্প উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার।
সমুদ্র পৃষ্ঠে পাম্প বসিয়ে ৫০০ মিটার উপরে পাইপের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করে পানির সুব্যবস্থা করে দিয়েছেন তারা। এতে ১০ হাজার লিটারে পানির ট্যাংক দিয়ে পানি মজুদ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখান থেকে সবাই পানি নিয়ে ব্যবহার করতে পারবে নিজের মতো করে।
পূনর্বাসন এলাকার কার্বারী সূর্যকিরণ ত্রিপুরা জানান, আমাদের পূর্বপূরষ থেকে এখানে বসবাস। আমরা সবসময় বাড়ি থেকে হেটে পাহাড়ের চুড়া থেকে কস্ট করে পানি এনে ব্যবহার করতে হতো। অনেক সময় পানি কম থাকে চুড়ায় তখন আরো কস্ট বেড়ে যেতো। এখন সেনাবাহিনী আমাদের এখানে যে পানির ব্যবস্তা করে দিয়েছে এতে আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। আমাদের এখন যেমন সময় বেঁচে গেছে তার ছেয়ে বেশি উপকার হয়েছে আমাদের কস্ট কমে গেছে।
মাটিরাঙ্গা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হেমেন্দ্র ত্রিপুরা জানান, এই পানির ব্যবস্থা করে দেওয়ায় আমার এলাকার মানুষের অনেক উপকার হয়েছে। আগে এখানকার মানুষ পাহাড়ের চুড়া থেকে পানি এনে ব্যবহার করালে আমাদের ছেলেরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে যেতো। এখন এই পানির সুব্যবস্থা হওয়াতে এখানকার মানুষ এখন আর তেমন কোনো অসুস্থ হবেনা। সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারবে।
খাগড়াছড়ি ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড ও রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম প্রকল্প উদ্বোধন করে বলেন, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন সবসময় পাহাড়ের মানুষে পশে আছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে এই প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানকার মানুষ গত ৩৫ বছর পানির কস্টে ছিলো। আমরা তাদের এই কস্ট লাগবে এটি স্থাপন করেছি। আশাকরি তারা এখন শান্তিপূর্ণভাবে এই পানি ব্যবহার করতে পারবে। তাদের সময় এবং কস্ট দুটোই বেঁচে যাবে।