পাহাড়ে জুমের পাশাপাশি চাষ হচ্ছে বিভিন্ন ফসল

NewsDetails_01

জুমের ফসল সংগ্রহ করে ঘরে ফিরছে দুই আদিবাসী
জুমের ফসল সংগ্রহ করে ঘরে ফিরছে দুই আদিবাসী
৮০ দশকের দিক থেকে পাহাড়ে জুম চাষীদের জুমের ফলন কমতে থাকে, তবে অভ্যন্তরীণ চাহিদাগুলো মেটানো জন্য পার্বত্যাঞ্চলে জুম চাষীদের জুম চাষ আরও বাড়ছে। তবে চাষ বাড়লে ও ধারাবাহিক ভাবে কমছে ফসল চাষ,চাষীদের জুম চাষের পাশাপাশি ফলন করছে কলার,আদা,পেঁপে,জাম্বুরা ও বিভিন্ন শাক-সবজি বাগাম। পাহাড়ের বড় গাছ কর্তন ও জুমের আগুনে বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়ায় পাহাড়িরা কলা,কচু,আদা,পেঁপে,জাম্বুরা,লেবু,কমলা প্রভূতি চাষ করে জীবন নির্বাহের জন্য। এক্ষেত্রে পার্বত্য এলাকার জুম ও বিভিন্ন ফলজ চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় সমতলের চেয়ে বেশি মাত্রায় বনায়ন ধ্বংস করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের তথ্যমতে, বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ৩ লাখ ৩ হাজার ৪৪৩ দশমিক ৯৫ একর বনাঞ্চল অরক্ষিত বনাঞ্চল ২ লাখ ৬৪ হাজার ৫২৫ একর। বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণে ৩৮ হাজার ৯২০ একর অন্যান্য বনভূমি থাকলেও ব্যক্তি পর্যায়ে আদিবাসীদের নিয়ন্ত্রণে কয়েক হাজার পাহাড়ী ভূমি রয়েছে। ভূমির বনাঞ্চল জনসংখ্যা বৃদ্ধিজনিত জুমের পরিধি বাড়াতে কেটে ফেলা হচ্ছে। আর্থিকভাবে লাভজনক বনায়নের (ফলের বাগান) পার্বত্য এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। প্রকৃতিতে সর্বনিন্ম ২৫ শতাংশ গাছপালা থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশে ১৬ শতাংশের বেশি নেই।
থানছিতে নৃ-গোষ্ঠির চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জুম চাষ সম্পূর্ণ প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল, সেক্ষেত্রে আমরা জুমের পাশাপাশি বিভিন্ন শাক-সবজি কলা ,আদা ও বিভিন্ন রকমের কচু চাষ করে থাকি। এছাড়া সবচেয়ে কলা চাষের মাধ্যমে স্বছল হচ্ছেন বললেন এক আদিবাসী ।
থানচি বাজারের রাং লাং ম্রো বলেন, কেননা আমরা সারা মাসের কলা বিক্রি করতে পারি যা প্রতি সাপ্তাহে ১০-১৫টি কলা ছরা বিক্রি করে ছেলেমেয়ে পড়ালেখা ও সংসারে বিভিন্ন কাজের খরচ জোগাতে পারি বললেন এক আদিবাসী। জনসংখ্যা বৃদ্ধিজনিত কারণে অতিরিক্ত খাদ্য সংগ্রহের প্রয়োজনে পার্বত্যাঞ্চলের জুম চাষে বিরূপ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। জুমের উপর নির্ভরতা না করে বিভিন্ন ফলজ বাগান ও শাক-সবজি চাষের প্রচুর লাভবান বলে স্বীকার করেছেন স্থানীয় চাষীরা।

আরও পড়ুন