প্রতিবন্ধী মা-ছেলে পেলো মাথা গোঁজার ঠাঁই

NewsDetails_01

পাহাড়ি খাস জায়গায় বাঁশের বেড়ায় তৈরি ছোট খুপরিই ছিল প্রতিবন্ধী মা-ছেলের ঠিকানা। জীবনে কল্পনাও করেননি একটি পাকা ঘরে মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি পাকা ঘর পেয়ে খুশি ও আনন্দিত মা-ছেলে।

ঘটনাটি খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মধ্য বোয়ালখালী পশ্চিম পাড়ায়। পরিবারের প্রধান বিধবা জরিনা বেগম (৫২) গত ১০ বছর আগে অসুস্থ হয়ে সুচিকিৎসার অভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে যায়। পাশাপাশি তাঁর একমাত্র ছেলে মোঃ তাইজ উদ্দিন (৩৪) জন্ম থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী।

সম্প্রতি খবর পেয়ে দীঘিনালার ইওএনও মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম ছুটে যান প্রতিবন্ধী এ পরিবারের কাছে। মনযোগ দিয়ে শুনেন তাদের দুর্বিষহ জীবনের করুন কাহিনী। তাদের নামে প্রতিবন্ধী ভাতা চালুর ব্যবস্থা করে দেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা করে দেন।

শুধু জরিনা বেগমই নন। তার মতো প্রতিবন্ধী,বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, ভিক্ষুক ও দিনমজুরসহ গৃহহীন সাড়ে তিনশো পরিবারকে নতুনকরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে একটি করে ঘর নির্মাণ করে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন ইউএনও। আগামী বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব ঘর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

NewsDetails_03

জরিনা বেগমের মেয়ে রহিমা বেগম বলেন, আমার মা ও ভাই দু’জনই প্রতিবন্ধী। জরাজীর্ণ বাড়িতে থাকাটা শীতে ও গ্রীষ্মে খুবই কষ্ট হতো। এদের দেখার কেউ নেই। আমার স্বামীও একজন দিনমজুর। তাই ইচ্ছে থাকলেও অনেক সময় সহযোগিতা করতে পারিনি। ইউএনও স্যার খোঁজ নিয়ে আমার মাকে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহমান বলেন, আমার ঘরের চতুর্পাশে এখন পাকা ঘর। এটা নিজের কাছে কতো আনন্দের সেটা বলে বুঝাতে পারবোনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই৷

মেরুং ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান ঘনশ্যাম ত্রিপুরা মানিক বলেন, জরিনা বেগম ও তার ছেলে তাজুল ইসলামের পাশে আমরা সবসময় আছি ও থাকবো৷ ইওএনও স্যারকে ধন্যবাদ সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য।

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম বলেন,উপজেলা পরিষদের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শে স্বচ্ছতা এবং সততার সঙ্গে শতভাগ মান বজায় রেখে গৃহনির্মাণ কাজ সর্বশেষ পর্যায়ে। আগামী বুধবার সাড়ে তিনশো ঘর ও জমির দলিল বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন