প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা নন, তবুও সত্যায়িত করেন নাইক্ষ্যংছড়ির ছৈয়দ মৌলভী

NewsDetails_01

মদিনাতুল উলুম মাদরাসার সুপার ছৈয়দ মৌলভী
তিনি প্রথম শ্রেণীর কোন সরকারী কর্মকর্তা নন, তবুও সরকারি-বেসরকারি চাকরি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন কাগজপত্র সত্যায়িত করেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নারী কেলেংকারীসহ বহু অপরাধের হোতা মদিনাতুল উলুম মাদরাসার সুপার ছৈয়দ মৌলভী। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আজ রবিরার সকালে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় এই তথ্য উঠে আসে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচির সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো,শফি উল্লাহ। এতে অধ্যাপক মো,শফি উল্লাহ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা প্রত্যন্ত এলাকায় থাকেন। এলাকার ভালো-মন্দ সব শ্রেণির লোকজন সম্পর্কে তারা অবহিত আছেন। মাদক বিরোধী অভিযানকে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মাদক সম্রাটরা যদি জায়গা দখল করে নেয় তখন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। তাই ভোটের চিন্তা বাদ দিয়ে যুবসমাজ রক্ষায় পুলিশের মাদক বিরোধী চলমান অভিযানে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা করতে হবে।
এসময় প্রধান অতিথি বক্তব্যে আগে নাইক্ষ্যংছড়ির বিতর্কিত সেই মদিনাতুল উলুম মাদরাসার সুপার ছৈয়দ মৌলভীর বিরুদ্ধে এখতিয়ার বহির্ভূত ভাবে চলমান ভোটার হালনাগাদের ডকুমেন্টস সত্যায়িত করা ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত কাগজপত্র সত্যায়িত করার অভিযোগ উঠেছে। এই মাসিক সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি মদরাসার অধ্যক্ষকে প্রশ্ন করে বলেন, প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ সত্যায়িত করার কোন এখতিয়ার নেই তবু আপনি সরকারী বিধিবিধান লঙ্ঘন করে কেন সত্যায়িত করছেন?
প্রশ্নের জবাবে মদিনাতুল উলুম মডেল ইনিস্টিটিউটের মাদরাসার সুপার বলেন, আমি ভুল করেছি, আমাকে তথ্য সংগ্রহকারীরা বলেছেন আমি সত্যায়িত করতে পারবো, এছাড়া আমি দীর্ঘদিন ধরে পাসপোর্ট সংক্রান্ত কাগজ পত্রে সত্যায়িত কারে আসছি কখনো কোন অভিযোগ আসেনি। ভবিষ্যতে আর কোন সত্যায়িত করা থেকে বিরত থাকবেন এবং ভুল হয়ে গিয়েছে মর্মে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্টিত মাসিক সভায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মং হ্লা ওয়ে মার্মা,পার্বত্য মন্ত্রীর প্রতিনিধি আলহাজ্ব মো, খাইরুল বাশার, এল,জি,ই ডি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো,তোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো, ইকবাল, সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী,বাইশারীর চেয়ারম্যান মো,আলম কোম্পানী,ঘুমধুম চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ,দৌছড়ি চেয়ারম্যান মো,হাবীব উল্লাহ,প্রেসক্লাব ভারপ্রাপ্ত সাঃ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম কাজল,শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রধান শিক্ষক ও রাজনৈতিক বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাইক্ষ্যংছড়ির এক শিক্ষার্থী বলেন,যে শিক্ষক আমার শিক্ষাজীবনের সব সনদপত্র সত্যায়িত করে দিয়েছেন, তিনি চারিত্রিক স্খলনজনিত কারণে আজ সমাজে আলোচিত-সমালোচিত। এভাবেই আমরা আমাদের সত্য সনদগুলো অসত্য দিয়ে সত্যায়িত করে চলেছি, আমরা এই অধ্যক্ষের বিচার দাবী করছি। তিনি প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা না হয়ে কিভাবে সত্যায়িত করেন।

আরও পড়ুন