বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন (অব.) মাজেদ গ্রেফতার

NewsDetails_01

বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুস মাজেদকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ক্যাপ্টেন মাজেদ দীর্ঘদিন পালিয়ে ছিলেন।

আজ মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে, করোনা ভাইরাসের ভয়ে আবদুল মাজেদ ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে। এরপর তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এর আগে, ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তারা হলেন, লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহম্মেদ (আর্টিলারি) ও লে. কর্নেল একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (ল্যান্সার)।

NewsDetails_03

এছাড়ও এখনো ১২ জনের মধ্যে ৫ জন বিদেশে পালিয়ে রয়েছে। পলাতকরা হলেন, কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ, লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল এএম রাশেদ চৌধুরী, রিসালদার মোসলেম উদ্দিন, লে. কর্নেল এসএইচ নূর চৌধুরী।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল সেনা সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হানা দিয়ে আত্বীয়স্বজনসহ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে অতর্কিত হানা দিয়ে শিশু সন্তান রাসেল, স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। ঘটনার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে মামলা হয়। বিচারিক আদালত এ মামলায় ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আপিল বিভাগ ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার বিষয়টি নিয়েও অনেক জল্পনা-কল্পনা হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ন্যক্কারজনক এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯৯৬ সালে প্রথম মামলা দায়ের করা হয়। সেখানে আসামি করা হয় ২৪ জনকে।

আরও পড়ুন