বাইশারীতে মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রম হ-য-ব-র-ল

NewsDetails_01

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ৩৫টি প্রাক-প্রাথমিক ও ৬টি কোরআন শিক্ষা কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে অনেকটাই ঢিলেঢালা ভাবে। অধিকাংশ কেন্দ্রের শিক্ষকরা পাঠদান তো দূরের কথা কেন্দ্রেই থাকেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষার্থীদের না পড়িয়ে বেতন তুলছেন অনেকেই। বেশির ভাগই এ কেন্দ্রের শিক্ষকরা ব্যবসা বাণিজ্য কিংবা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন। আরো অভিযোগ আছে কেন্দ্রের শিক্ষকরা বেশীর ভাগই পাঠদানের সময় সকাল ৮ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত আনন্দ স্কুল, মাদরাসা, ব্যবসা বাণিজ্য বা ব্যক্তিগত কাজে নিয়োজিত থাকেন।
ইতিমধ্যে কেন্দ্রে অনুপস্থিতির কারণে ৬ জন শিক্ষককে নোটিশ দেয়া হয়েছে। তবে গত ১৫ মার্চ নোটিশ পাঠানো হলেও বাইশারীর দায়িত্বরত সুপারভাইজারের অবহেলার কারণে শিক্ষকরা নোটিশ পায় ২২ মার্চ। নোটিশ পাওয়া এসব শিক্ষকরা অভিযোগের সুরে বলেন, যারা কেন্দ্র নিয়মিত পরিচালনা করে আসছেন মূলত তাদেরকেই নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং যারা কেন্দ্রে উপস্থিত না হয়ে দায়িত্বের প্রতি অবহেলা করেছেন তাদেরকে নোটিশ দেওয়া হয়নি। তারা আরো বলেন, বিগত দিনে শিক্ষার্থীদের না পড়িয়ে সুপারভাইজারের দায়িত্বের অবহেলার কারণে বছরের পর বছর বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন অনেকইে।
জানা যায়, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার সময়কাল হচ্ছে ৮ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত। বাইশারী ইউনিয়নের অধিকাংশ প্রাক-প্রাথমিক কেন্দ্রের শিক্ষকরা অন্য পেশায় নিয়োজত আছেন। কেউ আছেন আনন্দ স্কুলের শিক্ষক আবার কেউ আছেন মাদ্রাসার শিক্ষক হয়ে। এসব শিক্ষকরা প্রতিনিয়ত কর্মকর্তাদের ধোকা দিয়ে মসজিদ ভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রতি মাসে বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। তাছাড়া বাইশারী বাজারে অবস্থিত ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাধারন রিসোর্ট সেন্টারটি নিয়মিত না খোলার কারণে সাধারন পাঠকরা বই পড়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এদিকে অনেক শিক্ষক তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য গোপন রেখে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গনশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন। কোন রুপ তদন্ত না করে নূন্যতম যোগ্যতা ছাড়াই এসব শিক্ষকদের কিভাবে কঁচিকাঁচা শিক্ষার্থীদের পাঠদানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এলাকাবাসীর প্রশ্ন ? তাছাড়া একই শিক্ষক এক দিকে গনশিক্ষার আবার অন্য দিকে আনন্দ স্কুলের শিক্ষক। উভয় কেন্দ্রের একই ছাত্র। এসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল ও এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সুপারভাইজার মোজাম্মেল হক বলেন, দুইটি কেন্দ্রে এক সাথে পাঠদান করায় ইতিমধ্যে ৩ জন শিক্ষককে নোটিশ পাঠানো হয়েছে এবং আরো যারা তথ্য গোপন করে এক সাথে দুইটি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এবং নিয়োগ পেয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন