বান্দরবানের পাথর উত্তোলন বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

NewsDetails_01

লামায় ঝিরি খুঁড়ে পাথর উত্তোলন করছেন শ্রমিকরা
বান্দরবান পার্বত্য জেলার সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদী এবং নদীর পার্শ্ববর্তী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ঝরনা, ঝিরি ও ছরা থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক মাসের মধ্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয় সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, বান্দরবান জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ মামলার ১০ বিবাদীকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালত আদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেছেন। রিটে উল্লেখিত স্থানগুলোতে পাথর উত্তোলনে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও অবহেলা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না,তা আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জানাতে বলেছেন আদালত।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম।
বান্দরবানের সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদী এবং নদীর পার্শ্ববর্তী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ঝরনা, ঝিরি ও ছরা থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলা), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), আদিবাসী ফোরাম, নিজেরা করি, কাপেং ফাউন্ডেশন, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এবং স্থানীয় নাগরিক মং সৈপ্রু খাইয়াম। পরে ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল সহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত,বান্দরবানের ৭টি উপজেলার ঝিড়ি ঝর্না থেকে অবাধে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলনের কারনে শুকিয়ে যাচ্ছে ঝিড়িঝর্না এবং পানির এই উৎসস্থল শুকানোর কারনে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা যায়। আর এনিয়ে পাহাড়বার্তা সম্প্রতিক সময়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করে।

আরও পড়ুন