বান্দরবানের মানজিয়ারা পারভিন সিলেটের জঙ্গি আস্তানার মর্জিনা !

NewsDetails_01

চট্টগ্রামের সিতাকুন্ডে পুলিশের হাতে আটক বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের জঙ্গী নিহত জুবাইরা ইয়াসমিন এর বোন মানজিয়ারা পারভিন সিলেটের দক্ষিন সুরমার শিববাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানায় থাকতে পারে বলে ধারণা করছে তার পরিবার।
জঙ্গী জুবাইরা ইয়াসমিন ও মানজিয়ারা পারভিন এর বড় ভাই জিয়াবুল হক বলেন, বোন মানজিয়ারা পারভিন “মর্জিনা” নামে সিলেটের আস্তানায় থাকতে পারে, কারন জঙ্গিরা নাম বদলিয়ে দেশবিরোধী এসব কর্মকান্ড করে থাকে। তিনি আরো বলেন, আমার বোন বা যে কেউ এই ধরণের রাষ্ট্র বিরোধী কাজে জড়িত থেকে দেশের শান্তি বিনষ্ট করলে তাদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন শিববাড়ি এলাকায় আতিয়া মহল নামে পাঁচতলা একটি বাড়ির নিচতলায় জঙ্গিরা অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ওই বাড়ি থেকে বাইরের দিকে গ্রেনেড ছোড়া হয়। এই বাড়িতে মর্জিনা নামে এক নারী জঙ্গিসহ কয়েক জঙ্গি অবস্থান করছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এই ঘটনার পর ওই বাসার আসপাশের সব বাড়ি খালি করা হয়, অভিযানে অংশ নেয় সোয়াট। তবে নিচ তলায় জঙ্গিরা অবস্থান করায় বাসাটি খালি করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী তদন্ত্র কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক আবু মুসা বলেন, আমরা জন্মনিবন্ধন কার্ড দেখে মানজিয়ারা পারভিন এর নাম যে মর্জিনা এই বিষয়টি আমরা পায়নি।
জুবাইরা ইয়াসমিনের মা জান্নাত আরা জানায়, ৮ ছেলে এবং ৪ মেয়ের মধ্যে ৩জনের কোন হদিস নেই। চিকিৎসার কথা বলে স্বামী কামাল হোসেন জুবাইরা ইয়াসমিনকে নিয়ে যায় এবং কিছুদিন পর ছেলে জহিরুল হক তাদের সাথে চলে যায়। জুবাইরার একটি ছেলে হলে সন্তানের দেখাশুনার কথা বলে তার আরেক মেয়ে মানজিয়ারা পারভিনকে (১৬) চট্টগ্রামে নেয়। গত ৮ মাস আগে থেকে তাদের কোন খবর পান না বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত,চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ‘সাধনকুটির’ বাড়ি থেকে জসিম ও আরজিনাকে আটক করে পুলিশ, উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। জঙ্গি হাসানসহ তাদের বাড়ি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে।

আরও পড়ুন