বান্দরবানের রোহিঙ্গা রিপন এখন ফেন্সিডাইল থেকে ইয়াবা কারবারি

১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক

NewsDetails_01

বান্দরবান শহরের হোটেল প্যারাডাইস এর সামনে থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ি, জেলা যুবদলের কর্মী, একাধিক মামলার আসামি, রোহিঙ্গা রিপনসহ দুইজন মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৫। এসময় তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার সিপিসি-৩ বান্দরবান ক্যাম্প এর একটি আভিযানিক দল অদ্য গত ২২ মার্চ পৌনে একটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোটেল প্যারাডাইস এর সামনে এক অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে একটি মোটর সাইকেল, রেজিঃ নং-বান্দরবান-হ-১১-৩৫৩৬ সহ দুইজন মাদক কারবারীকে আটক করে।

আটককৃতরা হলেন, মোঃ নজির হোসেন ওরফে রোহিঙ্গা রিপন (৪৩), সে জেলা শহরের সিকদার পাড়ার সৈয়দ নুরের পুত্র। এসময় তার সহযোগী থানচির ৩৬৭ নং তিন্দু মৌজা কোঅং পাড়ার আংটিলি খুমীর পুত্র কাইথাং খুমী (৬০) কে গ্রেপ্তার করা হয়।

NewsDetails_03

জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজসে মোটরসাইকেল যোগে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে। এই ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে বান্দরবান জেলার সদর থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আব্দুল মাবুদের অনুসারী হিসাবে পরিচিত মোঃ নজির হোসেন ওরফে রিপন ১৯৯৮ সালের দিকে মিয়ানমার থেকে বান্দরবানে এসে মাছ বাজারের পানের দোকান দিয়ে ফেন্সিডাইল ব্যবসা শুরু করে রাতারাতি বাড়ি ও গাড়ির মালিক বনে যান। এরপর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সংগ্রহ করে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে নেতা বনে যান। এক পর্যায়ে মিয়ানমার তার জন্মস্থান হওয়ার কারনে ফেন্সিডাইল ব্যবসা ছেড়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এনে বান্দরবান শহরকে ইয়াবার সম্রাজ্য হিসাবে গড়ে তোলেন।

জেলা বিএনপির একটি সূত্র জানায়, মাদক সংক্রান্ত মামলায় রোহিঙ্গা রিপন অন্তত ১০বার গ্রেপ্তার হলেও বিএনপির এক নেতার আশ্রয়ে বারবার জামিনে মুক্ত হয়ে ফের মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।

আরও পড়ুন