বান্দরবানে দুই শসস্ত্র গ্রুপের গোলাগুলিতে নিহত ৮

NewsDetails_01

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার শসস্ত্র সন্ত্রাসীদের দুই গ্রুপের দফায় দফায় গোলাগুলিতে ৮ জন নিহত হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে উপজেলার খামতাং পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল রাত ৮ থেকে ভোর পর্যন্ত খামতাং পাড়ায় থেমে থেমে দুই শসস্ত্র গ্রুপ কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ সংস্কার) মধ্যে দফায় দফায় গোলাগুলি চলে, এক পর্যায়ে গোলাগুলির ঘটনা থেমে গেলে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে গেলে তারা শসস্ত্র পোশাক পরিহিত গুলিবিদ্ধ লাশ মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পায়। নিহতদের পোশাক দেখে ধারনা করা হচ্ছে, নিহতরা সবাই কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর শসস্ত্র শাখা কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) এর সদস্য, তাদের কাছে ভারী অস্ত্র থাকলেও তা বিরোধী শসস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা নিয়ে গেছে।

তবে রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী প্রতিবেদককে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে নিহতরা সবাই খ্যায়াং সম্প্রদায়ের। ঘটনার পর সেখানে লাশ উদ্ধারের জন্য সেনা বাহিনীর সদস্য ও পুলিশ পাঠানো হয়।

NewsDetails_03

এদিকে প্রশাসন নিহতের সংখ্যা ৮ জন দাবি করলেও শুক্রবার সকালে কেএনএফ দাবি করে, নিহতের সংখ্যা ৭জন। সংস্কার পন্থী গ্রুপ এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনায় নিহতরা হলেন, ভান দু বম, সাং খুম , সান ফির থাং বম, বয় রেম বম, জাহিম বম, লাল লিয়ান ঙাক বম, লাল ঠা জার বম। নিহতদের ৬ জন উপজেলার জুরভারাং পাড়া এবং একজন পানখিয়াং পাড়ার বাসিন্দা।

এই ব্যাপারে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান বলেন, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত্রের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, তাদের নাম পরিচয় জানার জন্য কাজ করছে পুলিশ, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এই ব্যাপারে বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো: তারিকুল ইসলাম পিপিএম বলেন, আমরা ৮ জনের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। নিহতদের নাম, পরিচয় ও কোন কারনে, কোন সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে তা জানতে পারিনি।

বান্দরবানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বাড়ার প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার আরো বলেন, আইনশৃংখলা রক্ষা, অপরাধ দমন, অপরাধী গ্রেফতারে আমরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছি।

আরও পড়ুন