বান্দরবানে ফের জেএসএস সমর্থক’কে গুলি করে হত্যা

NewsDetails_01

বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ফের জনসংহতি সমিতির এক সমর্থক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম জয় মনি তঞ্চঙ্গ্যা (৫১)।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেলা সদরের কুহালং ইউনিয়নের কিবুক ছড়ার ৩নং রাবার বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের ছেলে জনসংহতি সমিতির স্থানীয় নেতা রিপন তঞ্চঙ্গ্যাকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,এ ঘটনার পর ওই এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল দল অভিযানে নেমে রাত সাড়ে দশটার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে।
কুহালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সানু প্রু মারমা বলেন, সন্ত্রাসীরা তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় হানা দিয়ে জনসংহতি সমিতির স্থানীয় নেতা রিপন তঞ্চঙ্গ্যাকে (২৮) খোঁজ করে। তাকে ঘরে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তার বাবা জয়মনি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর রক্ত দেখা গেলেও লাশ পাওয়া যাচ্ছিলোনা, পরে তল্লাশী চালিয়ে রাত সাড়ে দশটার দিকে লাশ পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, নিহত জয়মনি কাঠের ব্যবসা করতো। এ ঘটনার পর কিবুক ছড়া ও রাজবিলা এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
গত মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার দুইদিনে জেএসএস এর দুই কর্মী গুলিতে নিহত ও একজন অপহরণের শিকার হওয়ায় আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটচ্ছে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতির নেতা-কর্মীরা।
গত মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে একদল সন্ত্রাসী রাজবিলা ইউনিয়নের তাইংখালী এলাকায় হানা দিয়ে জনসংহতি সমিতির কর্মী বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে মাথায় গুলি করে হত্যা করে। অপহরণ করে অপরকর্মী পুরাধন তঞ্চঙ্গ্যাকে,তবে পুরাধনের কোন হদিস মেলেনি ২ দিনেও।
মিয়ানমারের দলছুট বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান লিবারেশন আর্মির ( এএলএ) সদস্য বা বান্দরবানে নতুন করে সক্রিয় হওয়া জেএসএস (সংস্কার)এ হত্যার সাথে জড়িত রয়েছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। তবে প্রশাসনের পক্ষ হতে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওকে) শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যায়। লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

আরও পড়ুন