বান্দরবানে বাঘাইছড়ির ৭ মার্ডারের আসামী নিহত : ৭টি এসএমজি, ৪৩৭ টি গুলি উদ্ধার

NewsDetails_01

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি সীমান্তে র‌্যাবের অভিযানে উদ্ধার এসএমজি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি সীমান্তের তুলাতলিতে র‌্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির নির্বাচনোত্তোর ৭ হত্যাকান্ডে জড়িত শসস্ত্র সন্ত্রাসীদের ১জন নিহত হয়েছে। নিহতের নাম জ্ঞান শংকর চাকমা। তার বাড়ি রাঙামাটি জেলায় পৌর এলাকার জেল রোড এলাকায়, রাঙামাটিসহ অপর পার্বত্য জেলায় চাঁদা আদায়ে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল। এসময় ৭ টি অত্যাধুনিক এসএমজি, ৪৩৭ টি গুলি, ১১ খালি খোসা উদ্ধার করে র‌্যাব-৭।
র‌্যাব-৭ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ই মার্চ রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে উপজেলা সদরে ফেরত আসার পথে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপর শসস্ত্র সন্ত্রাসীরা
বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা চালায়, এই ঘটনায় নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৭জন প্রান হারান এবং ১৯জন আহত হন, তাদের অনেকে এখনও সিএমএইছ ও চমেকে চিকিৎসাধীন আছেন। এই ঘটনার অন্যতম আসামী জ্ঞান শংকর চাকমা ঘটনার পর জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আত্মগোপন করে ।
আরো জানা গেছে, র‌্যাবের গোয়েন্দারা জানতে পারে সন্ত্রাসী হামলায় অংশগ্রহণকারীদের কয়েকজন পার্বত্য জেলায় ব্যাপক নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বেশ কিছু অত্যাধুনিক অস্ত্র ক্রয় করে পুনরায় বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করবে, এই সংবাদ জানার পর যৌথ বাহিনীর সদস্যরা সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে ফাঁদ পাতে। বুধবার দুপুরে শসস্ত্র দলটি নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে এবং এসময় র‌্যাবের সাথে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় নিহত ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
র‌্যাব ৭, চট্টগ্রাম এর উপ-অধিনায়ক শাফায়াত জামিল ফাহিম বলেন, জ্ঞান শংকর চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের সক্রিয় একটি সশস্ত্র সংগঠনের দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী এবং রাঙ্গামাটি এলাকার চীফ কালেক্টর।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে উদ্ধারকৃত অস্ত্রসহ র‌্যাব-৭
আরো জানা গেছে, তিন পার্বত্য জেলার রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় পাহাড়ের বিভিন্ন শসস্ত্র গ্রুপ অপরাধ কর্মকান্ড সংঘটিত করে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বান্দরবানের রুমা,থানচিসহ বিভিন্ন উপজেলায় আশ্রয় গ্রহন করে। অন্যদিকে জেলার রুমা ও থানচি উপজেলা সীমান্তে অবস্থানরত মিয়ানমারের শসস্ত্র গ্রুপ আরকান আর্মি (এএ) এবং নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের অবস্থানরত রোহিঙ্গা জঙ্গী সংগঠন আরসা ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) থেকে পার্বত্য জেলার শসস্ত্র গ্রুপ গুলো অস্ত্র কিনে আধিপত্য বিস্তারে এবং পার্বত্য জেলা অস্থিতিশীল করার জন্য একের পর এক হত্যাকান্ডে লিপ্ত হয়ে পাহাড়ে বসবাসরতদের জীবন করে তুলছে দূর্বিসহ , ফলে পর্যটনসহ বিভিন্ন ব্যবসায় নেমে এসেছে অস্থিরতা।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, নিহতের লাশ আমাদের বুঝিয়ে দিলে , লাশ বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ মার্চ রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় পঞ্চম উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও সংশ্লিষ্টরা ফেরার পথে বাঘাইছড়ির সাড়ে এগার কিলোমিটার এলাকার বটতলা এলাকায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ ৭ জন নিহত ও ১৯ জন আহত হয়।

আরও পড়ুন