বান্দরবানে মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণ : ৩ মন মাছের হদিস নেই !

NewsDetails_01

মৎস্য পোনা অবমুক্ত করছেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো:জিয়া উদ্দিন
উন্মুক্ত জলাশয়ে বিল নার্সারী স্থাপন এবং পোনা অবমুক্তকরণ প্রকল্পের আওতায় বান্দরবানে প্রাণীজ আমিষের চাহিদা মেটানোর লক্ষে মৎস্য পোনা অবমুক্ত করা হলেও আজ সোমবার কত মন মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে এনিয়ে পরস্পর বিরোধী তথ্য পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার বিকেলে বান্দরবান সিনিয়র উপজেলা মৎস্য দপ্তরের বাস্তবায়নে বান্দরবানের সাঙ্গু নদীর উজানী পাড়া ঘাটে মৎস্য পোনা অবমুক্ত করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মৎস্য পোনা অবমুক্ত করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন আক্তার।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো:এনায়েত হোসেন চৌধুরী, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো:জিয়া উদ্দিন, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো:ওমর ফারুকসহ বিভিন্ন এলাকার মৎস্যজীবিরা। এসময় অতিথিরা জেলা শহরের সাঙ্গু নদীতে মৃগেল ,কাতাল, রুই,কাল বাউশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ অবমুক্ত করা হয়।
পোনা হিসাবে যেসব মৎস্য পোনা অবমুক্ত করা হয়
আরো জানা গেছে, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার তথ্য মতে ৩ মন মাছের পোনা অবমুক্ত করা হলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাছগুলোর অধিকাংশই মৃত এবং পোনা মাছ নয়। পানিতে ছেড়ে দেওয়া মৃগেল ,কাতাল,রুই, কাল বাউশসহ অধিকাংশ মাছের ওজন ছিলো ৫শ গ্রাম থেকে ১কেজি ওজনের। আর বিষয়টি অনেকে দেখে প্রশ্ন করেন, “পোনা ছাড়া হলো, নাকি মা মাছ ছাড়া হলো”।
এই ব্যাপারে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো:জিয়াউদ্দিন পাহাড়বার্তাকে বলেন,জেলা সদরের উজানী পাড়ার সাঙ্গুনদীর ঘাটে আজ সোমবার ৩ মন মৎস্য পোনা অবমুক্ত করা হয়।
আরো জানা গেছে, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিস প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে দায়সাড়া ভাবে মাছের পোনা অবমুক্ত করে তাদের অফিসিয়াল নির্দেশনা সাড়ন মাত্র কিন্তু এর পেছনে অর্থ লোপাটের অভিযোগ অনেকের।
এদিকে জেলা শহরের উজানী পাড়া সাঙ্গুনদীর ঘাটে অবমুক্ত করার জন্য মাছ সরবরাহকারী আব্দুর রহিম বালি পাহাড়বার্তাকে বলেন, আজ সোমবার মাছ ছাড়ার জন্য ৬মন মাছ সরবরাহ করেছি আমি।

আরও পড়ুন